Wednesday, July 4, 2012

খেলা



ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দুর্ভাগ্য
তিনি জন্মেছিলেন মেসির সময়ে!
নেইমার আসছেন ইউরোপে। এলে কি হবে?
জাহিদ কামাল
লন টেনিসের এক সময় ছিলেন জন ম্য্যাকেন্দ্র, পিট সামপ্রাস। এখন চলে এসেছেন ফেদেরার, নাদাল, জোকোভিচরা। ক্রিকেটে ছিলেন ব্রাডম্যান, তারপরই এলেন ব্রায়ান লারা। এখন শচীন টেন্ডুলকার। হাতের বল ছুড়তেন মিসাইল গতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যালকম মার্সেল, রবার্টস, ইমরান খান। তারপর এসেছিলেন ওয়াসিম আকরাম, ব্রেটলি, শোয়েব আখতার। এখন এরা কেউ নেই। আবারো কেউ না কেউ আসবেন। মানুষ এভাবেই পুরাতনকে ভুলে যায়। তারপর শুরু হয় নতুনদের নিয়ে মাতামাতি। নতুনরা আবারো এক সময় পুরনো হয়ে যান। এভাবেই সবকিছু ঘটে থাকে...
হলিউডের চলচ্চিত্রে ছিলেন গ্রেগরি ব্রেক, মার্লন ব্রান্ডো। তারও আগে ছিলেন চার্লি চ্যাপলিন। এখন এসেছেন, টম ক্রুজ, ব্রাডপিট, জনি ডেপ। ছিলেন লিজ টেলর, ছিলেন হলিউডের সম্রাজ্ঞী হয়ে। এই প্রজন্ম লিজ টেলরকে চেনে কি? এখন চলছে এ্যাঞ্জেলিন জোলির যুগ। এক সময় এ্যাঞ্জেলিনাও হ্যালির ধূমকেতু হয়ে হারিয়ে যাবেন... এরকমই নিয়ম।
ফুটবলে ব্রাজিলের পেলে, নেদারল্যান্ডসের ক্রুয়েফ থেকে আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা। আমরা পেলে বা ক্রুয়েফকে দেখিনি। তবে মাঝে মাঝে দেখে থাকি ভিডিও ক্লিপে। ইন্টারনেটের গুগলে। এখন যাদের দেখছি তারা হচ্ছে রোনালদো এবং মেসি। ইকার ক্যাসিয়াস এবং বুফন। বিশ্ব ফুটবল মূলত দুইভাগে বিভক্ত। ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। পেলে এবং ম্যারাডোনা। স্যুট বুট টাই পড়েই তো পেলের পাশে বস্তির ছেলে এবং হৈ চৈ করে বেড়ানো ম্যারাডোনা হয়তো বেমানান, তারপরেও ম্যারাডোনারও রয়েছে এখনও পৃথিবী ব্যাপি কোটি কোটি ভক্ত। পেলে যদি ফুটবলের ইতিহাস হন। ম্যারাডোনা তবে ফুটবলের আধুনিক ভূগোল। ম্যারাডোনার পরেই মঞ্চে আবির্ভূত হয়েছেন লিওনেল মেসি। বিপরীত দিকে ব্রাজিলের রোনালদিনহো প্রবলভাবেই থাকতে পারতেন। রোনালদিনহোর মতো ফুটবলের যাদুকরও যুগে যুগে জন্মায় না। রোনালদিনহোরাও মেসির মতোই আসেন ৫০ বছর বা ১শবছর পর। কিংবা হয়তো আসেনই না। অতিরিক্ত ক্লাব, মদ এবং নারী প্রীতির কারণে রোনালদিনহো হঠাৎ করেই হারিয়ে গেলেন। বার্সেলোনার পর ইন্টারমিলান, সেখান থেকে কোথায়? রোনালদিনহো তুমি এখন কোথায়? হয়তো সাঁতার কাটছো কোন এক দুঃখের সাগরে!
লিওনেল মেসি এই সময়ের এবং সম্ভবত সব সময়েরই সেরাদের সেরা হয়ে থাকবেন। এক সময় ইতিহাস হবেন। পরবর্তী প্রজন্ম ভুলে যাবে মেসিকে। এরকমই নিয়ম... মেসির এই ফুটবল ঝড়ের মাঝে প্রবলভাবে মেসির বিপরীতে দাড়িয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তিনি ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার নন। তিনি পর্তুগালের। রোনালদো যদি ব্রাজিলের হতেন, তাহলে? তাহলে এই দুই জনের যুদ্ধটা আরো বেশি জোড়ালো এবং ব্যাপক হতো। মেসির বিপরীত মেরুর ব্রাজিল সমর্থকরা ভীড় জমিয়েছিলেন রোনালদোর  পেছনে। এখন তার একটা বিকল্প বোধহয় খুঁজে পেয়েছেন, যার নাম নেইমার। নেইমার যতদিন ব্রাজিলে খেলবেন, থাকবেন সান্তোসে, ততদিন রোনালদো মেসির বিপরীতেই অবস্থান করবেন। অবস্থান করবেন অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা নিয়ে। নেইমার যদি ইউরোপে খেলতে আসেন, এবং আসবারই কথা, তাহলে মেসির কোন ক্ষতি হবে না। জয় হবে ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবলের। এখন ইউরোপসহ পুরো বিশ্বে ল্যাটিন আমেরিকার একমাত্র প্রতিনিধিত্ব করছেন লিওনেল মেসি। নেইমার ইউরোপে এলে মেসির শিবিরে কোন আগ্রাসন হবে না এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে রোনালদোর ব্যক্তিগত ভূবনটি যে কেঁপে উঠবে এবং অনেকখানিই ধস নামবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। একটা বিপরীত সমীকরণও হতে পারে। আর্জেন্টিনা বিরোধী ব্রাজিল সমর্থকরা, যারা এখন রোনালদো নিয়ে ব্যস্ত, তারা তখন একই সঙ্গে নেইমারকে নিয়েও ব্যস্ত হবেন। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াচ্ছে? তখন সমীকরণটা কি এমন হবে না, নেইমার + রোনালদো = মেসি! এতেও তো মেসি জিতেই গেলেন!
রোনালদোর দুর্ভাগ্য তিনি খেলতে নেমেছিলেন মেসির সময়ে। যদি মেসির আগে বা পড়ে তিনি আসতেন আমাদের এই প্রিয় ফুটবল ভূবনে, তাহলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোই হতেন, বিশ্বের একমাত্র ফুটবলের রূপকথার এক মহানায়ক। আমরা নেইমার নিয়ে আগামীকাল লিখবো।





অবশেষে ডিসেম্বরে মাঠে
গড়াচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
ওয়ানডে সিরিজ
আগামীকাল ডেস্কঃ অবশেষে পাক- ভারত সিরিজ হতে যাচ্ছে। সম্পর্কের শীতলতা কাটতে শুরু করেছে। গলতে শুরু করেছে জমে থাকা বরফ। বছরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে আরাধ্য ভারত-পাকিস্তান সিরিজ।
ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে সোমবার প্রকাশিত এক খবরে জানা গেছে, বছরের ডিসেম্বরেই তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের একটি সিরিজ খেলতে ভারত সফর করবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে ভারতের মাটিতে সিরিজ খেলতে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নীতিগতভাবে একমত বলেও খবরে জানানো হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মাঠে নামতে বেশ অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি, দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনায় পারস্পরিক ক্রীড়া সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সম্প্রতি, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনের ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়।



আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে
প্রস্তুতি ম্যাচে
উইকেটে জয়
আগামীকাল ডেস্কঃ আয়ারল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৪ রানের। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়েছে ১০৩ রানেই। জবাবে মুশফিকুর রহিম সাকিব আল হাসানের ভালো ব্যাটিংয়ে হেসেখেলেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ৩৪ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় মুশফিক বাহিনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংসটি এসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। ৩৭ রান করে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন সাকিব।



স্পেন বিশ্ব ফুটবলকে নিয়ে
গেল অন্য এক শিল্প এবং
 নান্দনিক মাত্রায়
ইকার ক্যাসিয়াস রবিবার রাতে প্রমাণ করেছেন তিনিই বিশ্ব সেরা গোল কিপার। ইনিয়েসত্মা প্রমাণ করেছেন তার চেয়ে ভাল পেস্ন মেকার এবং মিড ফিল্ডার হয়তো আরো একশ বছরেও পৃথিবীতে আসবে না। ইংল্যান্ড এই ইউরো কাপে ইতালির সঙ্গে ট্রাইব্‌্েরকার ছাড়া একটি ম্যাচেও হারেনি। একটি ম্যাচে না হেরেও ইংল্যান্ড কিছুই করতে পারলো না। এটাও প্রমাণ করে শুধু রড়্গণভাগ কিংবা একজন রম্ননি দিয়ে টূর্ণামেন্ট জেতা সম্ভব নয়। অনেকেই আছেন, কিন' ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো একজনই। তাপরেও সেই রোনালদোও কি পারলেন পর্তুগালকে ফাইনালে নিয়ে আসতে।

গুডবাই পোলান্ড, গুডবাই ইউক্রেন। এবার ১৬ টি দেশ নিয়ে শুরম্ন হয়েছিল ইউরো কাপ। পরবর্তী ইউরো কাপ শুরম্ন হবে ২৪ টি দল নিয়ে। ফিফার কাছে  আমাদের মিনতি আপনারা সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশ এই কারণ থেকে ইউক্রেন, রাশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র কিংবা পোলান্ডের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করবেন না। রোনালদোর নিরব কান্নার চেয়েও আরো প্রবল এক মৌন কানা্নায় কিন' ভেসে যাচ্ছেন ক্রুয়েফ।


জাহিদ কামাল
এমন একটি ইউরো কাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য আমরা প্রস' ছিলাম না। উয়েফা এবার ইউরো কাপের টিভি সত্ত্ব বিক্রি করেছিল পৃথিবীর প্রায় দুই টি অঞ্চলে। এতে খেলা দেখেছে কম করে হলেও কম করে পৃথিবীর দুই কোটি মানুষ। এই দুই অঞ্চলে টিভি স্বত্ত্ব বিক্রি করে উয়েফার প্রেসিডেন্ট মিশেল পস্নাতিনি টাকার বন্যা নিয়ে এসেছেন উয়েফার একাউন্টে। বলা হয়েছে এই টাকা থেকেই এবারকার ইউরোকাপের সব খরচ উঠে গিয়েও থাকবে প্রায় কয়েক কোটি টাকা। এছাড়াও তো রয়েছে অসংখ্য কোম্পানির কোটি কোটি ডলার এবং ইউরোর স্পন্সর মানি। ফুটবল তবে কি হয়ে উঠেছে লাগভেগাসের ক্যাসিনোর চেয়েও অর্থকড়ি আর বাণিজ্য?
আসলে এমন একটি ফাইনাল খেলা কেউ প্রত্যাশা করেনি। সম্ভাব্য ইউরো চ্যাম্পিয়ন জার্মানকে যেভাবে সেমিফাইনালে ইতালি গুড়িয়ে দিয়েছিল তাতে বিশ্বফুটবল প্রেমীরা স্পেনের বিজয় নিয়েই সংশয়ে পড়েগিয়েছিল। স্পেন ভক্তরাও দুরম্নদুরম্ন বুকে ফাইনালের আগের রাতটি কাটিয়েছেন। জার্মানীর বিরম্নদ্ধে আমরা যে ইতালিকে দেখেছি, ফাইনালে সেই ইতালি যেন হারিয়ে গিয়েছিল অজানা এক মেঘের দেশে। কেন এমনটি হয়েছিল?
ইতালি বরাবর খেলে আসে রড়্গণভাগের কাধে ভর করে। প্রতিপড়্গকে টেনে নিয়ে আসে তাদের রড়্গণভাগে। প্রতিটি খেলোয়ার হয়ে যান একেকটি এভারেস্ট শৃঙ্গ। তাদের টপকে গোল করা হয়ে ওঠে প্রায় দুঃসাদ্ধ। এরমাঝেই হঠাৎ দু একটি আক্রমণ করে বসে ইতালি। প্রতিপড়্গের মধ্যমাঠ বা ডিফেন্সের অনেক খেলোয়ারই সেসময় হয়তো অবস'ান নেন ইতালির শিবিরে। এবার ইউরো কাপে ইতালি তাদের খেলার ধরণটি পাল্টে ফেলেছিল। রড়্গণভাগের দুর্গের পাশাপাশি তারা পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণেও গিয়েছিল। এতে ছিল না কো স্বমন্বয়। এটা করতে গিয়ে রড়্গণভাগ, মিড ফিল্ড এবং আক্রমণভাগে যে স্বমন্বয় থাকার কথা ছিল সেটা কোন ম্যাচেই পুরোপুরি দেখা যায়নি। জার্মানের সঙ্গে বালোতেলিস্ন হঠাৎ দুটি মিসাইল গোলে জার্মানরা সবটুকু মনোবল হারিয়ে ফেলেছিল। ১৭ বছরের একটি ম্যাচেও জার্মানরা ইতালির বিরম্নদ্ধে একটিতেও জিততে পারেনি। স্নায়ুচাপের এই অনতিক্রানত্ম যুদ্ধের সাথে হঠাৎ যুক্ত হয়েছিল বালোতেলিস্নর আচমকা গোল। জার্মানরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ভেঙ্গে গিয়েছিল একেবারে তাশের ঘরের মতো। জার্মানরা এভাবেই ভেঙ্গে পড়েছিল বলেই ইতালি হয়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য। ইতালির খেলার এটা স্বাভাবিক চেহেরা ছিল না। জার্মানদের বিরম্নদ্ধে তারা হঠাৎ করেই এই অপ্রতিরোধ্য চেহেরা টি মাঠের মধ্যেই পেয়েছিল।
আমরা ভেবেছিলাম ফাইনালে স্পেনের বিরম্নদ্ধেও সেই একই ইতালিকে দেখবো। তা হয়নি। আমরা দেখলাম ইন্টার মিলান, এসি মিলান এবং জুভেন্টাসের ইতালি। ইতালির যে টিমগুলো জার্মানের বায়ার্ন মিউনিখ কিংবা ইংল্যান্ডের ম্যানসিটি, ম্যান ইউ চেলসির কাছে বার বার হারে।
তাই বলে চার চারটি গোল? এটা সম্ভব হয়েছে মুলত একটি কারণে। ইতালির রড়্গণভাগের সঙ্গে আক্রমণ ভাগের যে স্বমন্বয় থাকার কথা আমরা উলেস্নখ করেছি, স্পেন সেই স্বমন্বয়হীনতারই ১০০% ফায়দা তুলে নিয়েছে। গোল পোস্টে এই সময়ের বিশ্বসেরা ইকার ক্যাসিয়াস। সামনে পিকে, রামোস, আলোনসো। আর তার সামনে রয়েছেন জাভি, ইনিয়েসত্মা, ফ্যাব্রিগাস, সিলভা, বুসকেট। এমন একটি তারকা সমৃদ্ধ দল, যারা সবাই রয়েছে তুমুল ফর্মে। ইতালি খেলতে নেমেই এক ধরণের মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল। যে কারণে বিশ্বসেরা আরেক গোলকিপার বুফনের সেই চেনা খেলাটি আমরা দেখতে পারিনি। পিরলোকেও মনে হয়েছে যেন অজানা এক ফুটবল পাখি। এলোমেলোভাবে দৌড়াচ্ছেন অথচ তার পায়ে বল নেই। বালোতেলিস্ন যে দেখা যায়নি একটিবারও সফল কোন আক্রমণ তৈরি করতে। দেখা যায়নি একবারও বল নিয়ে সফলভাবে স্প্যানিশদের কাটিয়ে দৌঁড়াতে। প্রতিবারই বালোতেলিস্ন ব্যর্থ হয়েছেন এবং ব্যর্থ হবার পরে আক্রোশে চিতা বাঘের মতো বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থ্রো করেছেন। চিতা বাঘদের 'ান জঙ্গলে, ফুটবল মাঠে নয়।
স্প্যানিশ কোচ ডেল বস্ক ফাইনালে মিড ফিল্ডার দিয়ে টোটাল আক্রমণ করার ফরমেশনটা পাল্টে ফেলেছিলেন। তিনি যাদিও দূর্দানত্ম ফর্মে থাকা স্ট্রাইকার লরেনত্মকে মাঠে নামানি কিন' সাইলেন্ট স্ট্রাইকার হিসেবে খেলিয়েছিলেন ফ্যাব্রিগাসকে। সেই সঙ্গে বোধহয় আরো দুজনকে তৈরি করেছিলেন আরো বড় ধরনের ছদ্মবেশি স্ট্রাইকার। একজন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পেস্ন-মেকার ইনিয়েসত্মা এবং অন্যজন এবার বার্সায় যোগ দেয়া আলবাকে।
ইতালি খারাপ খেলেছে কিনা জানিনা। তবে স্পেন খেলেছে বোধকরি তাদের শ্রেষ্ঠতম খেলাটি। স্পেনের ফুটবল শৈলি এবং ছন্দের কাছে ইতালির ফুটবল একটি বারের জন্যও পাখা মেলে উড়তে পারেনি। স্পেনের ফুটবল কৌশলের কাছে দাঁড়ানোতো পরের কথা কৌশলটিই হয়তো ইতালি বুঝতে পারেনি। এই কারণেই বুফনকে হজম করতে হয়েছে চার চারটি গোল! কোন ইউরো কাপ ফাইনালে এটি একটি গোলের রেকর্ড। তবুও বুফন ছিলেন বলেই তিনি আরো তিন টি নিশ্চিত গোল সেফ করেছেন। একটি নিশ্চিত পেনাল্টি পেনাল্টি থেকে স্পেনকে বঞ্চিত করেছেন রেফারি।
খেলার মাঝে ধারাভাষ্যকারেরা এবং খেলার শেষে এই ফাইনাল খেলাটি নিয়ে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা প্রায় এক ঘন্টা মুক্ত আলোচনা করেছেন। তাতে সবাই বলেছেন, স্পেনের বর্তমান দলটি সর্বকালের সর্বসেরা। সবচেয়ে অবাক করা একটি বাক্য বলেছেন, স্পেনের এই সর্বকালের সেরা দলটির চেয়েও শ্রেয়তর টিমটির নাম হচ্ছে বার্সেলোনা!
ইকার ক্যাসিয়াস রবিবার রাতে প্রমাণ করেছেন তিনিই বিশ্ব সেরা গোল কিপার। ইনিয়েসত্মা প্রমাণ করেছেন তার চেয়ে ভাল পেস্ন মেকার এবং মিড ফিল্ডার হয়তো আরো একশ বছরেও পৃথিবীতে আসবে না। ইংল্যান্ড এই ইউরো কাপে ইতালির সঙ্গে ট্রাইব্‌্েরকার ছাড়া একটি ম্যাচেও হারেনি। একটি ম্যাচে না হেরেও ইংল্যান্ড কিছুই করতে পারলো না। এটাও প্রমাণ করে শুধু রড়্গণভাগ কিংবা একজন রম্ননি দিয়ে টূর্ণামেন্ট জেতা সম্ভব নয়। অনেকেই আছেন, কিন' ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো একজনই। তাপরেও সেই রোনালদোও কি পারলেন পর্তুগালকে ফাইনালে নিয়ে আসতে।
গুডবাই পোলান্ড, গুডবাই ইউক্রেন। এবার ১৬ টি দেশ নিয়ে শুরম্ন হয়েছিল ইউরো কাপ। পরবর্তী ইউরো কাপ শুরম্ন হবে ২৪ টি দল নিয়ে। ফিফার কাছে  আমাদের মিনতি আপনারা সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশ এই কারণ থেকে ইউক্রেন, রাশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র কিংবা পোলান্ডের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করবেন না। রোনালদোর নিরব কান্নার চেয়েও আরো প্রবল এক মৌন কানা্নায় কিন' ভেসে যাচ্ছেন ক্রুয়েফ। নেদারল্যান্ডও ছিল এবারকার সম্ভাব্য শিরোপা বিজয়ী একটি দেশ। অথচ ডেনমার্কের সাথে প্রথম ম্যাচেই এক গোলে হেরে কিভাবেই না তারা বিদায় নিল এবারকার ইউরো কাপ থেকে। আমাদের সবটুকু শ্রদ্ধাঞ্জলি থাকলো ক্রুয়েফ, নেদারল্যান্ড, ইউক্রেন এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতি। থ্যাংকস স্পেন। থ্যাংকস রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা। রিয়াল এবং বার্সা আছে বলেই আমরা এমন দূর্দানত্ম স্পেনকে দেখতে পাচ্ছি। এক কথায় রিয়াল বার্সা এবং স্পেন জন্ম দিয়েছে নতুন মাত্রার নান্দনিক ফুটবল। (জাহিদ কামাল, ঢাকা থেকে)


No comments:

Post a Comment