পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য উন্মোচন করবে
এমন অতিপারমাণবিক কণার সন্ধান
পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা
হিগস বোসন কণা- নামের এই কণার নাম রাখা হয়েছে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পিটার হিগস এর নামের শেষাংশ এবং বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম মিলিয়ে
higgs boson particle |
আগামীকাল ডেস্কঃ নতুন একটি ‘অতিপারমাণবিক’ কণার সন্ধান পেয়েছে ইউরোপীয় সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন) বিজ্ঞানীরা। এই কণাকে নিশ্চিতভাবে বহুল আলোচিত ‘হিগস বোসন কণা’ হিসাবে দাবি না করলেও সংস'াটি বলছে, এর কাঠামো ও আচরণ হিগস বোসন কণার সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ’। গতকাল বুধবার লন্ডনে সার্নের এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটেন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাসিলিটিজ কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী জন উমার্সলি বলেন, একটি নতুন কণার আবিষ্কারের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত, যা হিগস বোসন তত্ত্বে উল্লেখিত কণার সঙ্গে যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ।
‘বিগ ব্যাং’ নামের মহা বিস্ফোরণের পর মহাবিশ্বের সূচনালগ্নে যে কণাটি প্রধান ভূমিকা রেখেছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেই হিগস বোসনের নাম রাখা হয়েছে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পিটার হিগস এর নামের শেষাংশ এবং বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম মিলিয়ে।
‘ঈশ্বর কণা’ নামেও পরিচিত এই কণার অসি-ত্ব সম্পর্কে জানা গেলে ‘মহাবিস্ফোরণের’ পর কীভাবে সূর্য ও গ্রহ তৈরি হয়েছিল, এমনকি জীবনের রহস্যও বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। যদিও দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করেও এর অসি-ত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো প্রমাণ বিজ্ঞানীরা এখানো পাননি।
জেনেভার কাছাকাছি ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের সীমান-বর্তী ইউরোপীয় পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র সার্নে মাটির নিচে সুড়ঙ্গে বিগ ব্যাংয়ের ‘মিনি সংস্করণ’ সৃষ্টির চেষ্টায় বিজ্ঞানীরা আলোর গতির কাছাকাছি অতি উচ্চ মাত্রায় কণিকাগুলোর সংঘর্ষ ঘটান। দুই দফা চলে তাদের পরীক্ষা।
সার্নের লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারের (এলএইচসি) ২৭ কিলোমিটার ডিম্বাকৃতির সুড়ঙ্গপথে আলোর গতির কাছাকাছি এক ন্যানো সেকেন্ডে রেকর্ড ৭ বিলিয়ন বিলিয়ন ইলেক্ট্রন ভোল্ট ক্ষমতায় এই পরীক্ষা চালানো হয়। দুই দফা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো গবেষক দলের মুখপাত্র জো ইনকানডেলা জেনেভায় সার্নে বুধবার নতুন কণা আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে বলেন, এটি প্রাথমিক ফলাফল। তবে আমরা মনে করি এই ফল যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য।
এই কণা আসলেই ‘হিগস-বোসন’, নাকি সম্পূর্ণ নতুন একটি কণা- সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নন সার্নের বিজ্ঞানীরা। যদি দ্বিতীয়টি সঠিক হয়, তাহলে মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে তাদের আবার নতুন করে ভাবতে হবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
No comments:
Post a Comment