Wednesday, July 4, 2012

প্রযুক্তি


ইমেইল হ্যাক হয়েছে কি
না পরীক্ষা করুন
আগামীকাল ডেস্কঃ সম্প্রতি ইয়াহুর সার্ভার হ্যাক করে ৪৫ হাজারের বেশি পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। এসব হ্যাক করা পাসওয়ার্ডের তথ্য ফাঁস করেছে অনলাইনে।
ইয়াহুতে ব্যবহূত পাসওয়ার্ড অনলাইনের অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হলে সে অ্যাকাউন্টের তথ্যও হাতিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। কিছুদিন আগে একইভাবে লিঙ্কডইনের অ্যাকাউন্টও হ্যাক করে তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা দ্রুত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। ইয়াহু, জিমেইল, লিঙ্কডইন, এমএসএন হটমেইল, কমক্যাস্ট এওএল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে কি না, তা পরীক্ষা করে নেওয়ার জন্য সিকিউরি ম্যালওয়্যার ল্যাব একটি সেবা চালু করেছে।
http://labs.sucuri.net/?yahooleak লিঙ্কে ব্রাউজ করে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা যাবে।

মুঠোফোন ভাইরাসমুক্ত রাখুন
তথ্যপ্রযুক্তির ভাষায়, ভাইরাস হলো এক ধরনের প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই নিজে নিজে কপি হতে পারে। গনকযন্ত্রের ভাইরাসের সাথে সবাই পরিচিত হলেও মুঠোফোনের ভাইরাসের সাথে এখনও অনেকেরই দেখাসাক্ষাত হয়নি এখন পর্যন্ত। মুঠোফোনের ভাইরাস এখনও ততোটা ভয়ের কারন হয়ে দাঁড়ায়নি। তবে অনেকেই আশংকা করছেন, আগামী দুএক বছরের মাঝে গণকযন্ত্রের ভাইরাসের মতো মুঠোফোনের ভাইরাসও খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। সাধারনত যাদের ফোনের কনফিগারেশন একটু হাই, তাদের ক্ষেত্রে ভয়টা একটু বেশি। কারন, মোবাইল ভাইরাস সাধারনত ব্লু-টুথ, এম এম এস ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের উচিত ব্যাপারে আগেভাগেই সতর্ক থাকা। আসুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক, আপনার মুঠোফোনকে ভাইরাসের হাত থেকে মুক্ত রাখার কিছু কৌশল-
. মোবাইল ফোনের ভাইরাস বেশি ছড়ায় ব্লু-টুথের মাধ্যমে। তাই মুঠোফোনকে ভাইরাসমুক্ত রাখতে ফোনের ব্ল-টুথ অপশনটি বন্ধ করে বা লুকানো আবস্থায় (Hidden Mode) রাখুন। শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় ব্লু-টুথ অপশন চালু করুন। এতে ব্লু-টুথের মাধ্যমে যেসব ভাইরাস ছড়ায় সেসব ভাইরাসের হাত থেকে আপনার মুঠোফোন রক্ষা পাবে।
. ব্লু-টুথ বা এম এম এস এর মাধ্যমে আসা কোন সংযুক্ত ফাইল ওপেন করার আগে একটু সতর্কতা অবলম্বণ করুন, যেমনটা আপনি কোন -মেইলের সাথে সংযুক্ত ফাইলের ক্ষেত্রে করে থাকেন। দেখে নিন যে উৎস থেকে সংযুক্ত ফাইলটি আপনাকে পাঠানো হয়েছে তা আপনার পরিচিত কিনা। অজানা কোন উৎস থেকে যে কোন ধরনের ফাইল কপি বা ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন।
. কম্পিউটার ভাইরাসের ঠেকাতে যেরকম এন্টি-ভাইরাস পাওয়া যায় তেমনি এখন মুঠোফোন এবং পিডিএ-এর ভাইরাস ঠেকাতেও এন্টি-ভাইরাস পাওয়া যায়। তাই কম্পিউটারের মতো মুঠোফোনেও এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন। ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করলে মুঠোফোনের জন্য বেশ কিছু এন্টিভাইরাস পাবেন (যেমনঃ F-secure, Kaspersky)
. ভাইরাসের আক্রমনে আপনার মুঠোফোন অনাকাঙ্খিত আচরন শুরু করলে কাষ্টমার কেয়ার বা সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করুন। সেসব ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে ইনস্টল করার প্রয়োজন হতে পারে। তাই আপনার মোবাইল ফোনের জরুরী কোন তথ্য যেন নষ্ট না হয় সেজন্য জরুরী ফাইল, অ্যাড্রেস বুক ইত্যাদির একটি ব্যাক-আপ রাখুন।
 
শুধু একটি কথা বলার যন্ত্র নয়, মুঠোফোন হয়ে উঠেছে আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। মুঠোফোনের বিভিন্ন সুবিধা দিন দিন যেমন বাড়ছে, তেমনি এর নিরাপত্তার বিষয়টিও জরুরী হয়ে পড়ছে। তাই মুঠোফোনের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের এখন থেকেই সচেতন হওয়া প্রয়োজন।


প্রাপক মেইল খুলেছে কিনা তা 
নিশ্চিত হবেন যেভাবে

কাউকে মেইল পাঠালে প্রাপক সেই মেইলটি খুলেছে কিনা তা প্রেরক জানতে পারে না। বিভিন্ন অ্যাডঅন্স বা টুলস দ্বারা মেইল ট্র্যাকিং করা যায় এর মধ্যে রাইট ইনবক্স অন্যতম। ফ্রি এই সার্ভিসটি শুধুমাত্র জিমেইলে এবং মজিলা ফায়ারফক্স  গুগল ক্রোম ব্রাউজারে সমর্থন করে। অ্যাডঅন্স www.rightinbox.com থেকে ইনস্টল করে ব্রাউজারটি রিস্টার্ট করুন এরপরে জিমেইলের কম্পোজে গিয়ে দেখুন Send Now এর পরে Send Later বাটন এবং Track চেক বক্স এসেছে।
এবার মেইল পাঠানোর আগে Track চেক বক্সটি চেক করে সেন্ড করুন। তাহলে মেইলটি সেন্ড হবে এবং Please wait. Email tracking is in progress. ম্যাসেজ দেখাবে এবং ট্র্যাকিং সেট হবে। ব্যাস প্রাপক মেইল চেক করার সাথে সাথে support@rightinbox.com থেকে একটি Email Tracking মেইল আসবে এতে কখন মেইল খুলেছে সেই সময় (টাইম জোনসহ), দেশের নাম, আইপি এবং লোকেশন (গুগল ম্যাপ) ইত্যাদি আসবে।
 ------------------------------------------------------------------------------------------------

এসইও টিউটোরিয়াল (seo)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হচ্ছে ধারাবাহিক পরিবর্তনের মধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের উন্নতি সাধন করা। এই পরিবর্তনগুলো হয়ত আলাদা ভাবে চোখে পড়বে না কিন্তু সামগ্রিকভাবে এর মাধ্যমে একটি সাইটের ব্রাউজিং এর স্বাচ্ছন্দবোধ অনেকাংশে বেড়ে যায় এবং অর্গানিক বা স্বাভাবিক সার্চ রেজাল্টে সাইটকে শীর্ষ অবস্থানের দিকে নিয়ে যায়। এই পর্বে অন-পেজ এসইও (On-page SEO) নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোকপাত করা হল। এই লেখাটি গুগল কর্তৃক প্রকাশিতএসইও স্টার্টার গাইডএর উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে
প্রাথমিক এসইও
“title” ট্যাগের ব্যবহার
একটি HTML পৃষ্ঠার টাইটেল ট্যাগ থেকে সেই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়, যা একজন ব্যবহারকারী এবং সার্চ ইঞ্জিনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। HTML ডকুমেন্টের <head> ট্যাগের মধ্যে <title> ট্যাগ লেখা হয়। টাইটেল ট্যাগটি ওয়েব ব্রাউজারের টাইটেলবারে এবং সার্চের সময় প্রথমেই দৃশ্যমান হয়। টাইটেল ট্যাগের মধ্যে সাধারণত সাইটের নাম এবং পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু যুক্ত করা হয়। একটি সাইটের প্রত্যেকটি পৃষ্ঠার জন্য ভিন্ন ভিন্ন টাইটেল ট্যাগ থাকা প্রয়োজন। এতে সাইটের পৃষ্ঠাগুলোকে গুগল আলাদাভাবে সনাক্ত করতে পারে। পৃষ্ঠার বিষযবস্তুর সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন শিরোনাম পরিহার করা উচিত। টাইটেল ট্যাগে অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড যুক্ত না করাই উত্তম। টাইটেল ট্যাগ হতে হবে বর্ণনামূলক অথচ সংক্ষিপ্ত। অনেক লম্বা টাইটেল ট্যাগ ব্যবহার করলে সার্চের ক্ষেত্রে গুগল শুধুমাত্র এর অংশবিশেষ প্রদর্শন করে।

“description”
মেটা ট্যাগ
একটি HTML ডকুমেন্টের description মেটা ট্যাগের মধ্যে ওই পৃষ্ঠা সারসংক্ষেপ যুক্ত করা হয়, যা গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনকে সাইটের পৃষ্ঠাটি সম্পর্কে ভাল ধারণা দেয়। যেখানে title ট্যাগ কয়েকটি শব্দের সমন্নয়ে গঠিত সেখানে description মেটা ট্যাগের মধ্যে এক বা একাধিক লাইনের একটি প্যারাগ্রাফ দিতে হয়। টাইটেল ট্যাগের মত এটিও <head> ট্যাগের মধ্যে <meta name="description" content="..."> এর মাধ্যমে যুক্ত করতে হয়। সাইটের প্রত্যেকটি পৃষ্ঠায় ভিন্ন ভিন্ন এবং সঠিক description যুক্ত করা প্রয়োজন, কারণ সার্চের ফলাফলে প্রায় সময় এটি প্রদর্শিত হয়। শুধুমাত্র কিওয়ার্ড দিয়ে description মেটা ট্যাগটি তৈরি করা উচিত নয়। অনেকে আবার পৃষ্ঠার মূল লেখাকে সরাসরি এই ট্যাগে লিখে ফেলেন যা মোটেও ঠিক নয়
) সাইটের কাঠামো
URL পুনর্গঠন
সহজবোধ্য বর্ণনামূলক URL সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাইটের প্রত্যেকটি পৃষ্ঠার URL যাতে সেই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ID বা ব্যবহারকারীদের কাছে অর্থহীন বিভিন্ন প্যারামিটার ব্যবহার না করে অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করা উচিত। উদাহরণসরূপ http://yoursite.com?category_id=1&product_id=2 এর পরিবর্তে http://yoursite.com/books/book-title এভাবে URL লিখলে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের কাছে পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু পরিষ্কার হয়ে যায়। URL যাতে অত্যাধিক কিওয়ার্ড না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

সহজ নেভিগেশন
সাইটের নেভিগেশন অর্থাৎ এক পৃষ্ঠা থেকে অন্য পৃষ্ঠায় যাওয়া যাতে সহজ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সহজ নেভিগেশন একদিকে ব্যবহারকারীদেরকে যেরকম সাইটের তথ্য সহজেই খুজে পেতে সাহায্য করে অন্যদিকে সাইটের গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠাগুলোকে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই খুজে পায়। সাইটের প্রথম পৃষ্ঠা বা হোমপেজ থেকে অন্যান্য সকল পৃষ্ঠায় কিভাবে যাওয়া যাবে তা প্রথমেই প্ল্যান করা উচিত। সাইটে অসংখ্য পৃষ্ঠা থাকলে সেগুলোকে বিভাগ এবং উপ-বিভাগে ভাগ করে রাখা প্রয়োজন। প্রত্যেকটি পৃষ্ঠায় breadcrumb লিস্ট যুক্ত করা ভাল, এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী কত ধাপ ভেতরের পৃষ্ঠায় রয়েছে তা জানতে পারে এবং ইচ্ছে করলে লিংকে ক্লিক করে পূর্বের পৃষ্ঠায় যেতে পারে। এই লিস্টটি দেখতে সাধারণত এরকম হয়ে থাকে - Home > Products > Books

সাইট ম্যাপের ব্যবহার
সাইট ম্যাপ দুই ধরনের হয়ে থাকে, প্রথমটি হচ্ছে একটি সাধারণ HMLT পৃষ্ঠা যেখানে সাইটের সকল পৃষ্ঠার লিংক যুক্ত করা হয়। মূলত কোন পৃষ্ঠা খুজে পেতে অসুবিধা হলে ব্যবহারকারীরা এই সাইট ম্যাপের সহায়তা নেয়। সার্চ ইঞ্জিনও এই সাইট ম্যাপ থেকে সাইটের সকল পৃষ্ঠার লিংক পেয়ে থাকে। দ্বিতীয় সাইটম্যাপ হচ্ছে একটি XML ফাইল যাগুগল ওয়েবমাস্টার টুলসনামক গুগলের একটি সাইটে সাবমিট করা হয়। সাইটের ঠিকানা হচ্ছে http://www.google.com/webmasters/tools এই ফাইলের মাধ্যমে সাইটের সকল পৃষ্ঠা সম্পর্কে গুগল ভালভাবে অবগত হতে পারে। এই সাইটম্যাপ ফাইল তৈরি করতে গুগল একটি ওপেনসোর্স স্ক্রিপ্ট প্রদান করে যা এই লিংক থেকে পাওয়া যাবে - http://code.google.com/p/googlesitemapgenerator
404 পেজের গুরুত্ব
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ব্রাউজিং করার সময় প্রায় সময় 404 নামক একটি পৃষ্ঠার সম্মুখিন হন। সাইটের লিংক ভুল থাকলে কিংবা কাঙ্খিত পৃষ্ঠাটি না পাওয়া গেলে এটি যে কোন সাইটেই দৃশ্যমান হয় এবং এক্ষেত্রে সাধারণত “404 File Not Found” লেখাটি দেখা যায়। তবে এর সাথে অন্যান্য সাহায্যকারী তথ্য বা সাইটের অন্যান্য পৃষ্ঠার লিংক যুক্ত করতে পারলে ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক সুবিধা হয়।


) কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশন
মানসম্মত তথ্য এবং সার্ভিস
মানসম্মত স্বতন্ত্র কন্টেন্ট বা তথ্য হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট জনপ্রিয় করার মূল হাতিয়ার। এটি একদিকে যেমন ব্যবহারকারীদেরকে সাইটে নিয়মিত আসতে প্রভাবিত করে, তেমনি গুগলের কাছেও সাইটের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ওয়েবসাইটে লেখা সংযোজন করার পূর্বে কিওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা এবং লেখায় এর প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন। গুগলের "এডওয়ার্ডস" সাইটে এজন্য একটি টুল রয়েছে যা একটি কিওয়ার্ড কতটা জনপ্রিয় তা যাচাই করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই টুলের মাধ্যমে নতুন নতুন কিওয়ার্ড সম্পর্কে জানা যায়। সাইটটির ঠিকানা হচ্ছে - https://adwords.google.com/select/KeywordToolExternal তাছাড়া গুগলের "ওয়েবমাস্টার টুলস" সাইটে শীর্ষ কিওয়ার্ডের একটি লিস্ট পাওয়া যায়, যা থেকে ব্যবহারকারীরা সাইটে ভিজিট করার পূর্বে গুগলে কোন কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আসে তা জানা যায়। ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট তৈরি করার সময় বানান এবং ব্যাকরণের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। লেখায় একাধিক বিষয়বস্তু থাকলে সেটিকে কয়েকটি প্যারাগ্রাফে ভাগ করে এবং শিরোনাম সহকারে লেখা উচিত।

এংকর টেক্সটের যথাযথ ব্যবহার
এংকর টেক্সট (Anchor Text) হচ্ছে HTML এর <a href=”...”></a> বা এংকর ট্যাগের ভেতরের শব্দগুচ্ছ যাতে ক্লিক করে অন্য কোন পৃষ্ঠা বা সাইটে যাওয়া যায়। এই টেক্সটি গুগল এবং ব্যবহারকারীদেরকে লিংক সম্পর্কে পূর্ব ধারণা দেয়। এই লিংকটি একই সাইটের অন্য কোন পৃষ্ঠার সাথে হতে পারে অথবা ভিন্ন কোন সাইটের সাথে সংযুক্ত হতে পারে। এংকর টেক্সটে “Click here”, “Page” বা “Article” এই জাতীয় সাধারণ শব্দ ব্যবহার না করে লিংককৃত পৃষ্ঠার বর্ণনামূলক হওয়া উচিত। এংকর টেক্সটটি যাতে অল্প কয়েকটি শব্দের সমন্নয়ে হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে, সম্পূর্ণ একটি বাক্যকে এংকর টেক্সট হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। একটি সাধারণ লেখা থেকে লিংককে যাতে আলাদাভাবে চেনা যায় সেজন্য এংকর টেক্সটে ভিন্ন রং, আন্ডারলাইন ইত্যাদি CSS স্টাইল ব্যবহার করা যেতে পারে।

ছবির ব্যবহার
ওয়েবসাইটে ছবি বা ইমেজ যুক্ত করার সময় HTML এর <img src=”...” alt=”...” /> ট্যাগের মধ্যকার alt এট্রিবিউটে ছবির বর্ণনা যুক্ত করা উচিত। এর ফলে কোন ব্রাউজারে যদি ছবিটি না আসে তাহলে এই এট্রিবিউটের লেখাটি দৃশ্যমান হবে। একটি ছবিকে লিংক হিসেবে ব্যবহার করার সময় এটি এংকর টেক্সটেরও কাজ করে। অন্যদিকে এর মাধ্যমে গুগলের ইমেইজ সার্চের সাহায্য ব্যবহারকারীরা ছবিটি খুজে পাবে। ছবির বর্ণনার পাশাপাশি ছবির ফাইলে নামও বর্ণনামূলক সংক্ষিপ্ত হওয়া প্রয়োজন। সাইটের সাইটম্যাপ ফাইলের মত ছবির জন্যও একটি XML সাইটম্যাপ তৈরি করা যায়, যা গুগলকে ওয়েবসাইটের সকল ছবি সম্পর্কে ভাল ধারণা দেয়।
হেডিং ট্যাগ
HTML <h1> থেকে শুরু করে <h6> পর্যন্ত ৬টি হেডিং ট্যাগ রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিরোনামকে <h1> ট্যাগের মধ্যে এবং কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য হেডিং ট্যাগের মধ্যে লেখা হয়। হেডিং ট্যাগের লেখা যেহেতু পৃষ্ঠার অন্যান্য লেখা থেকে আকারে বড় হয়ে থাকে তাই এটি ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি সহজেই আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় এবং লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত করতে ব্যবহারকারী গুগলকে সহায়তা করে। তবে একটি পৃষ্ঠায় মাত্রাধিক হেডিং ট্যাগ যাতে ব্যবহৃত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

) ক্রাওলার উপযোগী এসইও
robots.txt ফাইলের ব্যবহার
ক্রাউলার (Crawler) হচ্ছে একধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে এবং নতুন নতুন তথ্য তার ডাটাবেইজে সংরক্ষণ (বা ক্রাউলিং) এবং সাজিয়ে (বা ইন্ডেক্সিং) রাখে। ক্রাউলার প্রোগ্রামকে প্রায় সময় ইন্ডেক্সার, বট, ওয়েব স্পাইডার, ওয়েব রোবট ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। গুগলের ক্রাউলারটিগুগলবটনামে পরিচিত। গুগলবট নিরবিচ্ছিন্নভাবে ইন্টারনেটে বিচরণ করে বেড়ায় এবং যখনই নতুন কোন ওয়েবসাইট বা নতুন কোন তথ্যের সন্ধান পায়, এটি গুগলের সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখে। robots.txt হচ্ছে এমন একটি ফাইল যার মাধ্যমে একটি সাইটের নির্দিষ্ট কোন অংশকে ইন্ডেক্সিং করা থেকে সার্চ ইঞ্জিন তথা ক্রাউলারকে বিরত রাখা যায়। এই ফাইলটিকে সার্ভারের মূল ফোল্ডারের মধ্যে রাখতে হয়। একটি সাইটে এমন অনেক পৃষ্ঠা থাকতে পারে যা ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিন উভয়ের কাছে অপ্রয়োজনীয়, সেক্ষেত্রে এই ফাইলটি হচ্ছে একটি কার্যকরী সমাধান। গুগলের ওয়েবমাস্টার টুলস সাইট থেকে এই ফাইল তৈরি করা যায়
nofollow লিংক সম্পর্কে সতর্কতা
গুগলবট একটি সাইটকে যখন ক্রাউলিং করতে থাকে তখন সেই সাইটে অন্য সাইটের লিংক পেলে তাতে ভিজিট করে এবং সেই সাইটকেও ক্রাউলিং করে। এক্ষেত্রে একটি সাইটের পেজরেংক (PR) এর উপর অন্য সাইটের পেজরেংকের প্রভাব পড়ে। HTML ট্যাগের <a> ট্যাগের মধ্যে “rel” এট্রিবিউটে “nofollow” দিয়ে রাখলে গুগল সেই লিংকে ভিজিট করা থেকে বিরত থাকে। nofollow লেখার নিয়ম হচ্ছে - <a href=”http://www.sitename.com” rel=”nofollow”>Site Name</a> এটি মূলত বিভিন্ন ব্লগিং সাইটে পাঠকদের মন্তব্যে অবস্থিত লিংকে ব্যবহৃত হয়, যা স্প্যামার বা অনাকাঙ্খিত ভিজিটরদেরকে তাদের সাইটের পেজরেংক বাড়ানো প্রতিরোধ করে। এটি অযাচিত মন্তব্য প্রদানে স্প্যামারদেরকে নিরুৎসাহিত করে। তবে যেসকল ক্ষেত্রে স্প্যাম প্রতিরোধের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে nofollow ব্যবহার না করা ভাল এতে পাঠকরা মন্তব্য প্রদানে উৎসাহিত হবে এবং সাইটের সাথে তাদের যোগাযোগ আর বেশি হবে।

) ওয়েবসাইটের প্রচারণা এবং বিশ্লেষণ
সঠিক পদ্ধতিতে প্রচারণা
একটি সাইটকে যখন অপর একটি সাইট লিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত করে তখন একে বলা হয় ব্যাকলিংক (Backlink) একটি সাইটের ব্যাকলিংক যত বেশি হবে গুগলের কাছে সেই সাইটের গুরুত্ব তত বাড়তে থাকবে এবং এর পেজরেংকও বাড়তে থাকবে। ফলস্বরূপ সার্চের মাধ্যমে আরো বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী সাইটে আসবে। বেশি করে ব্যাকলিংক পাবার জন্য ওয়েবসাইটে মানসম্মত তথ্য থাকা এবং এর সঠিক প্রচারণা প্রয়োজন। একটি সাইটে ভাল তথ্য থাকলে ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটে স্বেচ্ছায় ব্যাকলিংক সংযুক্ত করবে। একটি ওয়েবসাইটের প্রচারণা দুই ধরনের হতে পারে - অনলাইন এবং অফলাইন। অনলাইন প্রচারণার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্লগিং। ওয়েবসাইটের সাথে একটি ব্লগ সংযুক্ত থাকলে এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের নতুন নতুন সার্ভিস বা পণ্যের সাথে ব্যবহারকারীদেরকে সহজেই পরিচয় করিয়ে দেয়া যায়। অনলাইন প্রচারণার মধ্যে আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্কিং কমিউনিটি সাইটে প্রচারণা। তবে এসব সাইটে প্রচারণার ক্ষেত্রে একটু সংযমী হওয়া প্রয়োজন। ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি নতুন তথ্য বা যে কোন ছোটখাট পরিবর্তন শেয়ার না করে বেছে বেছে ভাল তথ্যগুলো সবাইকে জানানো উচিত। অন্যথায় এটি অন্যদের বিরক্তির উদ্রেক করে। নিজের সাইটের সমজাতীয় কমিউনিটি সাইট বা বিভিন্ন ফোরামে প্রচারণা করা ভাল, তবে সেসকল সাইটে অযথা পোস্ট প্রদান বা স্প্যামিং যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অফলাইন প্রচারণার মধ্যে রয়েছে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন, বিজনেস কার্ড তৈরি, পোস্টার, লিফলেট, নিউজলেটার প্রকাশ ইত্যাদি
ফ্রি ওয়েবমাস্টার টুলের ব্যবহার
গুগলসহ অন্যান্য জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনগুলো ওয়েবমাস্টারদের জন্য এসইও সহায়ক বিভিন্ন ফ্রি টুল প্রদান করে। গুগলের ওয়েবমাস্টার টুলস সাইটের মাধ্যমে একজন ওয়েবমাস্টার তার সাইট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারে যা গুগলের সার্চ রেজাল্টে আরো ভালভাবে ওয়েবসাইটটি উপস্থিত হতে সহায়তা করে। এই সাইট থেকে যে সকল সার্ভিস বিনামূল্যে পাওয়া যায় সেগুলো হল -
  • গুগলবট একটি সাইটের কোন অংশ ক্রাউলিং করতে না পারলে তা যায়
  • গুগলে একটি XML সাইটম্যাপ সাবমিট করা যায়
  • robots.txt ফাইল তৈরি করা যায়
  • title এবং description মেটা ট্যাগে কোন সমস্যা থাকলে তা সনাক্ত করা যায়
  • যে সকল সার্চ কিওয়ার্ডের ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেগুলো সম্পর্কে জানা যায়
  • অন্য কোন কোন সাইট ব্যাকলিংক করেছে তা জানা যায়
  • আরো নানা ধরনের বিশ্লেষণধর্মী টুল

এখানে যদিও আমরাসার্চ ইঞ্জিনসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, তথাপি একটি ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ বা উন্নত করার ক্ষেত্রে সাইটের ভিজিটরদের সুবিধার কথাই প্রথমে চিন্তা করা উচিত। কারণ ভিজিটররাই হচ্ছে একটি সাইটের মূল ভোক্তা, কোন সার্চ ইঞ্জিন নয় আর তারা সাইটকে খুজে পেতে সার্চ ইঞ্জিনকে একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে মাত্র। এসইও একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং একটি চলমান প্রক্রিয়া। রাতারাতি একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় নিয়ে আসা যায় না। তবে নিয়মিত উন্নয়ন করতে থাকলে এর ফলাফল অনেক সুদূরপ্রসারী

No comments:

Post a Comment