গায়িকা কুসুম সিকদার যেভাবে হয়ে
গেলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী
আগামীকাল ডেস্কঃ মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকদের কাছে কুসুম সিকদারের জনপ্রিয়তার কমতি নেই। ছোটবেলায় তিনি ভেবেছিলেন, গান নিয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দেবেন। কিন্তু ২০০২ সালে লাক্স ফটো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ায় পর তার সেই ভাবনা পাল্টে যায়। এর আগে একই বছর সাউন্ডটেক থেকে তিনি গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। অ্যালবামের নাম ‘জীবনে যত চাওয়া। এরপর তার আরও কয়েকটি মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। তবে একসময়ের গায়িকা এখন পুরোদস্তুর অভিনেত্রী। চরিত্রের ভেতর ঢুকে তাকে বের করে আনার ক্ষেত্রে যে দক্ষতা তিনি দেখিয়েছেন, তাতে দর্শকদের পছন্দের তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বেশি সময় লাগেনি।
অভিনয়টাকে তিনি শিল্প হিসেবেই দেখেন। তার ভাষ্যে, অভিনয়টা সাধারণ কোনো কাজ নয়। এটি একটি শিল্প। আর এই শিল্প তিলে তিলে গড়ে তোলে অভিনয়শিল্পীরাই। তাই শিল্পের মান রক্ষায় অভিনয়শিল্পীদের প্রতিশ্র“তিবদ্ধ হতে হয়। মাত্রাতিরিক্ত শুটিং ব্যস্ততা কাজের মান খারাপ করে দেয় কি না এ প্রসঙ্গে কুসুম বলেন, কিছুটা তো করেই। তবে এর বেশির ভাগটাই নির্ভর করে শিল্পীর ওপর। শিল্পী কীভাবে তার ব্যস্ততাকে সমন্বয় করে তার ওপর মানের বিষয়টি নির্ভর করে। যারা অধিক ব্যস্ত হয়েও সমন্বয়টা করতে পারে তাদের অভিনীত নাটকগুলোর মান অতটা নিচে নামে না যতটা বলা হয়। আমি চেষ্টা করি সমন্বয় করে চলার। কতটা সফল তা দর্শকরাই বলতে পারবে।’ ফটোসুন্দরী হওয়ার পর কুসুমের প্রথম অভিনীত নাটক হলো বিয়ের আংটি। এরপর অভিনয় করেন বেশকিছু মানসম্পন্ন নাটকে।
বর্তমানে কুসুম অভিনীত বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এরমধ্যে উত্তরাধিকার, পন্ডিতের মেলা, একই শহরে, ইকারুসের ডানা, যোগাযোগ, নো ম্যানসল্যান্ড প্রভৃতি। সামনে অভিনয় করবেন ধারাবাহিক নাটক হৃদি হকের পরিচালনায় ‘দেয়াল’ এবং ফারুক হোসেনের বোয়িং সেভেন ফর সেভেন।
চলতি বছরের ফেব্র“য়ারিতে কুসুম সিকদারের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র লালটিপ মুক্তি পায়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেটের ইমপ্রেস টেলিফিল্মের এই ছবিটি পরিচালনা করেন স্বপন আহমেদ। এই ছবিতে কুসুম সিকদার নিধি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কুসুমের বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন ইমন। এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, এ টি এম শামসুজ্জামান, মিশু, সোহেল খান, কোনালসহ আরও অনেকেই। ফ্রান্সের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন ড্যানিয়েল ক্রেমার, জেরার্ড দোপার্দো, দেবোরাহ নিউম্যান, নাতালি ফ্রান্সেস্কি ও লিয়ানা। এটি বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত একটি চলচ্চিত্র। দ্বিতীয় ছবি লাল টিপও কুসুমকে সফলতার ভেলায় ভাসিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে তিনি তৃতীয় ছবিতে অভিনয়ের জন্য অপেক্ষায় আছেন। তার ভাষ্যে, আমি সবসময় ভালো গল্প, ভালো পরিচালক এবং কাজ করার অনুকূল পরিবেশ থাকলেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
ফ্ল্যাশব্যাক:
ব্র্যাঞ্জেলিনার
সাত বছরের
প্রেমপঞ্জি
আগামীকাল
ডেস্কঃ এ মুহুর্তে
হলিউডের সবচেয়ে বড়
খবর- সাত বছর
একত্রে কাটানোর পর
এবার সঙ্গীনী অ্যাঞ্জেলিনা
জোলিকে বিয়ের প্রস্তাব
দিয়েছেন ব্র্যাড পিট।
জোলির আঙুলে আড়াই
লাখ মার্কিন ডলারের
হীরের আংটি পরিয়ে
বাগদানের পর্বটিও শেষ
করে ফেলেছেন এরইমধ্যে।
নিজেদের ছয় সন্তানকে
সঙ্গে নিয়ে এবার
গীর্জায় গিয়ে দুজনের
কবুল বলাটাই বাকি।
ব্র্যাড
পিট এবং অ্যাঞ্জেলিনা
জোলি- হলিউডি এই
দুই অত্যন্ত জনপ্রিয়
তারকার সাত বছরের
এই প্রেমকাহিনী নিয়ে
মিডিয়ার কৌতুহলের শেষ
ছিলো না কখনোই।
আর এ কারণেই
এই জুটির প্রেমের
প্রতিটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা
নথিভুক্ত করে রাখার
ব্যাপারে বিলকুল কোনো
কসুর করেনি আন্তর্জাতিক
মিডিয়া। ব্র্যাঞ্জেলিনার প্রেমকাহিনীর
সেসব ঘটনাপঞ্জি নিয়েই
সাজানো হয়েছে এবারের
এক ঝলক।
২০০৪
সালের গ্রীষ্ম
ব্র্যাড
পিট এবং অ্যাঞ্জেলিনা
জোলি প্রথমবারের মতো
চুক্তিবদ্ধ হলেন ‘মিস্টার
অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’
এ। তখন থেকেই
এই হবু মিস্টার
অ্যান্ড মিসেস-এর
প্রেমের গুজব ভাসতে
শুরু করলো হলিউডি
মহলে। তবে নিজেদের
মধ্যকার এ ধরনের
কোনো সম্পর্কের কথা
যথারীতি নাকচ করে
দিলেন তারা। মিডিয়াও
এ নিয়ে খুব
বেশি মাতামাতি করলো
না।
জানুয়ারি
২০০৫
সাত বছর
একত্রে সংসার করার
পর জেনিফার অ্যানিস্টন
এবং ব্র্যাড পিট
ঘোষণা দিলেন বিয়ে
বিচ্ছেদের।
মার্চ
২০০৫
অ্যানিস্টন
ডিভোর্সের জন্য আবেদন
করলেন।
এপ্রিল
২০০৫
অ্যাঞ্জেলিনা
জোলির দত্তক নেওয়া
ছেলে ম্যাডক্সের সঙ্গে
কেনিয়ার একটি সমুদ্র
সৈকতে সময় কাটাতে
দেখা গেল ব্র্যাড
পিটকে। জোলি এবং
ম্যাডক্সের পাশে পিটের
তোলা ওই ছবি
নিয়েই হলিউডে শুরু
হলো ব্যাপক আলোড়ন।
২০০৫
এর গ্রীষ্ম
ডাব্লিউ
ম্যাগাজিনের ডোমেস্টিক
ব্লিস সংখ্যায় একত্রে
ফটোশুট করলেন অ্যাঞ্জেলিনা
এবং ব্র্যাড। সঙ্গে
সঙ্গে ফের তোলপাড়
শুরু হয়ে গেল
মিডিয়াতে। এ জুটির
ডেটিং করার বিষয়টি
সবাই একরকম নিশ্চিত
হলেন। কিন্তু তখনো
হলিউডি প্রেস রিলিজ,
মানে কি-না
‘আমরা স্রেফ ভালো
বন্ধু’ এমন কথা
মুখে নিয়েই একসঙ্গে
ঘুরতে শুরু করলেন
এ দুজন। ওদিকে
জোলি দত্তক নিলেন
তার দ্বিতীয় সন্তান
জাহ্রাকে।
অক্টোবর
২০০৫
আনুষ্ঠানিকভাবে
সম্পন্ন হলো ব্র্যাড
পিট এবং জেনিফার
অ্যানিস্টনের বিয়ে
বিচ্ছেদ।
জানুয়ারি
২০০৬
মিডিয়াকে
স্তম্ভিত করে দিয়ে
পিপল ম্যাগাজিনকে দেয়া
এক সাক্ষাৎকারে অ্যাঞ্জেলিনা
ঘোষণা দিলেন, তিনি
ব্র্যাডের সন্তানের মা
হতে চলেছেন। তিনি
আরো জানালেন, তার
দুই দত্তক নেওয়া
সন্তানের নামের শেষে
তিনি আইনসঙ্গতভাবে যুক্ত
করেছেন পিটের নাম।
মে ২০০৬
অ্যাঞ্জেলিনা
জন্ম দিলেন তার
এবং ব্র্যাড পিটের
প্রথম সন্তানের। ফুটফুটে
সেই কন্যা শিশু
শিলোহর প্রথম তোলা
ছবির স্বত্ত্ব মোট
সাড়ে সাত মিলিয়ন
ডলারে কিনে নিলো
পিপল এবং ওকে
ম্যাগাজিন। ব্র্যাঞ্জেলিনা এই
অর্থের পুরোটুকুই ব্যয়
করলেন দাতব্য কাজে।
অক্টোবর
২০০৬
ব্র্যাড
পিট ঘোষণা দিলেন,
যেদিন আমেরিকায় সমলিঙ্গের
বিয়ে বৈধতা পাবে,
সেদিন তিনি বিয়ে
করবেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে।
তার আগে কিছুতেই
নয়!
মার্চ
২০০৭
জোলি
এবং পিট যৌথভাবে
দত্তক নিলেন তাদের
চতুর্থ সন্তান প্যাক্স
থিয়েনকে। ভিয়েতনামের এক
অনাথ আশ্রম থেকে
তিন বছরের প্যাক্সকে
দত্তক নেন তারা।
মে ২০০৮
জোলি
আবারো ঘোষণা দিলেন
মা হওয়ার। এবার
একটি নয়, ব্র্যাডের
যমজ সন্তানের মা
হওয়ার খবর দিলেন
তিনি।
জুলাই
২০০৮
জন্ম
হলো যমজ ভাইবোন
নক্স লিওন এবং
ভিভিয়েন মার্শেলিনের। এই
দুজনের প্রথম ছবির
স্বত্ত্ব যথারীতি ১৪
মিলিয়ন ডলারে কিনে
নিলো পিপল এবং
হ্যালো! ম্যাগাজিন। এই
অর্থের পুরোটুকুই গেল
জোলি-পিট চ্যারিটি
ফাউন্ডেশনে।
অক্টোবর
২০০৮
প্রথমবারের
মতো জোলি নিউ
ইয়র্ক টাইমসের কাছে
স্বীকার করলেন, পিটের
সঙ্গে তার সম্পর্কের
শুরু মিস্টার অ্যান্ড
মিসেস স্মিথের সময়
থেকেই। তিনি এও
জানান, ঐ সময়টাতে
ব্র্যাডের প্রতি তার
আকর্ষণ এতোটাই দুর্নিবার
ছিলো যে, তিনি
সিনেমার শুটিংয়ের জন্য
অধীর আগ্রহে অপেক্ষা
করতেন! ওদিকে ব্র্যাড
জানালেন, জেনিফারের সঙ্গে
তার বিয়ে টিকে
থাকার সময়কালে কোনো
প্রতারণা করেননি তিনি।
জোলির সঙ্গে ডেটিং
শুরু হয় তাদের
ডিভোর্সের পরেই।
নভেম্বর
২০০৮
জোলির
এক মন্তব্যে তেলে
বেগুনে জ্বলে উঠলেন
অ্যানিস্টন। ভোগ ম্যাগাজিনকে
দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে
অ্যানিস্টন জানালেন, ‘জোলি
ব্র্যাডের আকর্ষণেই কাজে
যেতেন? এই কথাটা
তার মুখ থেকে
শোনাটা সত্যিই বিরক্তিকর!’
সেপ্টেম্বর
২০১১
প্যারেড
ম্যাগাজিনকে দেওয়া
সাক্ষাৎকারে বোমা
ফাটালেন ব্র্যাড পিট।
জানালেন, অ্যানিস্টনের সঙ্গে
তার দাম্পত্য জীবনে
কোনো মজা খুজে
পেতেন না তিনি।
তিনি আরো জানান,
এরকম বিরক্তিকর বৈবাহিক
জীবন থেকে তাকে
উদ্ধার করেন জোলি।
তার সঙ্গে ঘর
করে সুখেই আছেন
ব্র্যাড।
জানুয়ারি
২০১২
এক হলিউড
রিপোর্টারকে দেওয়া
সাক্ষাৎকারে ব্র্যাড
জানান, ‘আমাদের বাচ্চারা
ইদানিং প্রায়ই আমাকে
জিজ্ঞেস করে, তাদের
মাকে কেন আমি
এখনো বিয়ে করিনি?
আমি বলেছিলাম যে,
সমলিঙ্গের বিয়ের অধিকার
প্রতিষ্ঠিত না হওয়া
পর্যন্ত আমরা বিয়ে
করবো না। কিন্তু
মনে হচ্ছে সে
কথাটি আর রাখা
সম্ভব হচ্ছে না।
আমাদের বাচ্চারা আমাদের
কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ
এবং তাদের সুখেই
আমাদের সুখ। তাই
তাদের এই অনুরোধ
আমার কাছে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ।’
এর পরের
কাহিনী এতোক্ষণে সবার
জানা হয়ে গেছে।
কেবল নিজেদের ছয়
সন্তানই নয়, বিশ্বজুড়ে
থাকা তাদের অসংখ্য
শুভাকাঙ্খিকেও আনন্দে
ভাসিয়ে আংটি বদল
করে ফেলেছেন এ
দুজন। সবার চোখ
এখন ব্র্যাঞ্জেলিনার এই
মহাকাব্যিক প্রেমের সফল
পরিণতির দিকেই।- বিডিনিউজ।
প্রধানমন্ত্রীর
ভূমিকায় কারিনা
আগামীকাল
ডেস্কঃ সঞ্জয় লীলা
বানশালীর ‘রাম লীলা’
ছেড়ে দেওয়া নিয়ে
বেশ কিছুদিন ধরেই
ভারতীয় মিডিয়ার আলোচনার
শীর্ষে আছেন অভিনেত্রী
কারিনা কাপুর। এবার
তিনি খবরে এলেন
পরিচালক প্রকাশ ঝার
পরবর্তী সিনেমায় ভারতের
একজন প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায়
অভিনয়ের জন্য চূড়ান্ত
হয়ে। খবর মিডডের।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট
এক সূত্র জানায়,
‘প্রকাশ ঝা-এর
পরবর্তী পলিটিক্যাল থ্রিলারে
কারিনাকে দেখা যাবে
ভারতের একজন নারী
প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায়
অভিনয় করতে। সিনেমাটিতে
তার বিপরীতে অভিনয়
করবেন অজয় দেবগন।
এ বছরের শেষে
এটির শুটিং শুরু
হবে।’সূত্রটি আরো
জানায়, অজয়ের আগ্রহের
কারণেই নাকি সিনেমাটিতে
অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন
কারিনা। ‘অজয়ই প্রকাশকে
বলেন, সিনেমাটিতে কারিনাকে
অন্তর্ভুক্ত করার
কথা। প্রকাশও তার
কথায় সঙ্গে সঙ্গেই
রাজি হয়ে যান।
কারণ, তার মতে
‘ওমকারা’র পর
আবারো অজয়ের বিপরীতে
কারিনাকে এই সিনেমায়
দেখা যাবে মেকআপ
বিহীন একটি চরিত্রে;
দর্শকদের জন্য যা
হবে দারুণ এক
চমক।’ শেষ খবর
পাওয়া পর্যন্ত, বেবো
নিজেও এরকম একটি
চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব
পেয়ে উচ্ছ্বসিত। পরিচালকের
সঙ্গে ইতোমধ্যেই তার
কথাবার্তা হয়ে গেছে।
এখন বাকি কেবল
কাগজে কলমে সিনেমাটির
জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়াটাই।
চরিত্রের
প্রয়োজনে নিজেই
কাপড়
খুলেছেন নিকোল
কিডম্যান
অভিনয়ের
আলোচিত চার দশক
আগামীকাল
ডেস্কঃ নিকোল মেরি
কিডম্যান- হলিউডে নিকোল
কিডম্যান নামেই পরিচিত
এই অভিনেত্রী বীরদর্পে
পর্দা কাঁপাচ্ছেন গত
কয়েক দশক ধরে।
চেহারায় অদ্ভুত সারল্য
এবং আবেদনময়ী পারফরমেন্সের
মাধ্যমে বরাবরই হলিউডি
সিনেমার দর্শকদের নজরে
এসেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান
বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী। শুধু
পুরুষদের কাছেই সীমাবদ্ধ
থাকেনি তার আবেদন,
অনেক নারীর কাছেও
আজ তিনি আদর্শ।
অভিনয় থেকে শুরু
করে সঙ্গীতচর্চা, প্রযোজনা
এবং বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক
কাজে রেখেছেন সাফল্যের
স্বাক্ষর। পুরস্কারের ঝুলিতে
রয়েছে তিনটি গোল্ডেন
গ্লেব, বাফটা, একটি
অস্কার এবং ‘হলিউড
ওয়াক অফ ফেইম’-এর
মতো সম্মানজনক স্বীকৃতি।
লাল চুলের
এই অস্ট্রেলিয়ানের জন্ম
হয় হাওয়াইয়ের হনুলুলুতে।
বাবা ডেভিড কিডম্যান
পেশায় ছিলেন ডাক্তার
এবং মা জেনেলি
অ্যান ছিলেন একজন
নার্স। একমাত্র ছোট
বোন অ্যান্টোনিয়া কিডম্যান
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার টিভি
ব্যক্তিত্ব হিসেবে সফলভাবে
কাজ করছেন। বাবা-মায়ের
বড় মেয়ে নিকোল
শৈশব থেকেই ছিলেন
সংস্কৃতিমনা। মাত্র
তিন বছর বয়স
থেকে ‘ব্যালে’ নৃত্যের
তালিম নেয়া শুরু
করেন তিনি। নিকোলের
প্রথম অভিনয় ছিলো
মাত্র পাঁচ বছর
বয়সে স্কুলের একটি
নাটকে, যেখানে তার
চরিত্র ছিল একটি
ভেড়ার। এর পর
থেকে হাইস্কুলের দিনগুলোতে
বিভিন্নভাবে তার অভিনয়ের
গুণ প্রকাশ পেতে
থাকে। তবে অভিনয়ের
প্রতি ব্যাপক আগ্রহ
থাকলেও সবসময় তিনি
একটু লাজুক ধরনের
ছিলেন বলেই মনে
করেন নিজেকে।
১৯৮৪
সালে, নিকোলের ১৭
বছর বয়সে তার
মায়ের স্তন ক্যান্সার
ধরা পড়ে। তখন
মায়ের চিকিৎসার জন্য
পরিবারকে সাহায্য করতে
গিয়ে মাঝপথেই পড়াশোনা
থেমে যায় কিশোরী
নিকোলের। অল্প আয়ের
‘ম্যাসাজ থেরাপিস্ট’ হিসেবে
কাজ করে পরিবারের
দুর্দিনে পাশে দাঁড়ান
তিনি। পরবর্তীতে অভিনেত্রী
এবং সহপাঠী নাওমি
ওয়াটসের অনুপ্রেরণায় ভর্তি
হন মেলবোর্নের ভিক্টোরিয়ান
কলেজ অফ আর্টসে।
পাশাপাশি অভিনয় চালিয়ে
যান সিডনির বিখ্যাত
ফিলিপ স্ট্রিট থিয়েটারে।
টিনএজের ওই সময়গুলোতে
সুন্দর লালচে চুলের
জন্যে থিয়েটারে তার
চাহিদা বেড়েই চলে।
অস্ট্রেলিয়ার ওই বিখ্যাত
থিয়েটারের নিয়মিত অভিনেত্রী
হিসেবে কিশোরী বয়সেই
তিনি ব্যাপক প্রশংসা
এবং গ্রহণযোগ্যতা অর্জন
করেন।
সতেরো
বছর বয়সে থিয়েটার
শুরু করলেও এই
অভিনেত্রীর সত্যিকারের অভিনয়
জীবন শুরু হয়
বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ম
‘বুশ ক্রিসমাস’-এ
কিশোরী হেলেন থম্পসনের
চরিত্রের মাধ্যমে। তখন
তার বয়স ছিল
মাত্র ১৪ বছর।
তার কিছুদিন পরেই
১৭ বছর বয়সে
নিকোল তার অভিনীত
অস্ট্রেলিয়ান টিভি
সিরিজ ‘ভিয়েতনাম’-এর
জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী
হিসেবে জিতে নেন
জীবনের প্রথম পুরস্কার
‘অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ম
ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ড’।
পর্দায়
২৯ বছরের ক্যারিয়ারে
নিজের কাজের জন্য
যেমন হয়েছেন প্রশংসিত,
তেমনই হয়েছেন নিন্দিত।
আশির দশকের মাঝামাঝি
সময়ে এসে জনপ্রিয়তা
বাড়তে থাকে নিকোলের।
তখনকার জনপ্রিয় অস্ট্রেলিয়ান
টিভি সিরিজ ‘ফাইভ
মাইল ক্রিক’-এ
সহঅভিনেত্রী হিসেবে
কাজ করে এবং
‘বিএমএক্স ব্যানডিটস’-এর
মতো আলোচিত সিনেমায়
অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের
নজরে আসেন তিনি।
এরপর ১৯ বছর
বয়সে ব্যাপকভাবে আলোচনায়
আসেন ‘উইন্ড রাইডার’
মুভিতে আবেদনময়ী দৃশ্যে
অভিনয় করে।
১৯৮৯
সালে নিকোল পরিচালক
স্যাম নেইলের থ্রিলার
মুভি ‘ডেড কাম’-এর
মাধ্যমে হলিউডে পা
রাখেন। ১৯৯০ সালে
অভিনেতা টম ক্রুজের
বিপরীতে তার দ্বিতীয়
হলিউডি সিনেমা ‘ডেজ
অফ থান্ডার’ তাকে
এনে দেয় তারকা
খ্যাতি। সেই বছরের
বক্স অফিস হিট
এই সিনেমায় কাজ
করতে গিয়েই নিকোল
এবং টমের পরিচয়
এবং প্রণয় হয়।
দেরি না করে
সে বছরের ডিসেম্বরেই
বিয়ে করে ফেলেন
তখনকার সময়ের সাড়া
জাগানো এই তারকা
যুগল।
বিয়ের
পর নিকোল কাজ
করেন অস্ট্রেলিয়ান সিনেমা
‘ফ্লার্টিং’-এ; যেখানে
তার চরিত্র ছিল
একজন স্কুলগার্লের। একজন
বিবাহিত অভিনেত্রী হিসেবে
স্কুল ছাত্রীর চরিত্রে
তার সাবলীল অভিনয়
তারকা হিসেবে তার
ইমেজকে নতুন শিখরে
নিয়ে যায়। পরবর্তীতে
নিকোল-টম হঠাৎ
মিডিয়ার কাছ থেকে
দূরে সরে ব্যস্ত
হয়ে পড়েন পরিচালক
স্ট্যানলি কুবরিকের সেক্স
থ্রিলার ‘আইজ ওয়াইড
শাট’ সিনেমার কাজে।
এই সিনেমায় তাদের
অভিনীত বেশ কিছু
রগরগে দৃশ্য তৎকালীন
হলিউডে আলোচনার ঝড়
তোলে। উল্লেখ্য, নিকোল
কিডম্যান হলেন সেইসব
অভিনেত্রীদের মধ্যে
একজন, যিনি চরিত্রের
প্রয়োজনে বিবসনা দৃশ্যে
কাজ করার সময়
কখনও ‘বডি ডাবল’
ব্যবহার করেননি।
৫ ফিট
১১ ইঞ্চি লম্বা
এই অভিনেত্রীকে হলিউডের
সবচাইতে দীঘাঙ্গী অভিনেত্রীদের
মধ্যে একজন হিসেবে
ধরা হয়। তবে
স্বামী টম ক্রুজ
উচ্চতায় খাটো হওয়ার
কারণে টমের স্ত্রী
থাকাকালীন কখনোই হাই
হিল পরতে দেখা
যায়নি তাকে। কিন্তু
এই তারকা দম্পতির
সংসার শেষঅব্দি টেকেনি।
বিবাহিত জীবনের ১১
বছরের মাথায় ২০০১
সালে মিডিয়ার সামনে
তারা ঘোষণা দেন
যে, ক্যারিয়ারের কারণে
তাদের একসঙ্গে থাকা
সম্ভব নয়। তারপর
সেই বছরের মাঝামাঝি
সময়ে দত্তক নেয়া
সন্তান ইসাবেলা জেইন
এবং কোনর অ্যান্থনিকে
নিয়ে আলাদা হয়ে
যান নিকোল।
এক বছর পর সিনেমা
হলে ফিরছেন কেয়া
আগামীকাল ডেস্কঃ আবারো সিনেমা হলে দেখা যাবে কেয়াকে। দীর্ঘ এক বছর পর ঢালিউড অভিনেত্রী ফিরে আসলেন। কেয়ার অভিনীত সর্বশেষ ছবি মুক্তি পেয়েছে ‘বন্ধু তুমি শত্রু তুমি’। আসছে ঈদে কেয়া অভিনীত মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবিটির নাম ‘প্রেমিক নাম্বার ওয়ান’। আনোয়ার হোসেন মিন্টুর প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করেছেন রকিবুল আলম রাকিব। এতে কেয়ার নায়ক শাকিব খান। ছবিতে আরও অভিনয়ে আছেন অপু বিশ্বাস, শাহনূর, শাহীন আলম, সাজ্জাদ হোসেন দোদুলসহ আরও অনেকে। কেয়া বলেন, এ বছরের শুরুতেই ছবির ডাবিং করেছি আমি। বর্তমানে ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কাজ চলছে। আশা করছি ছবিটি ঈদে মুক্তি পাবে এবং সবার কাছে ভাল লাগবে। এছাড়াএ ছবির মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন পর আমার আর শাকিবের একসঙ্গে অভিনয়ে ছবি মুক্তি পাচ্ছে।
সবমিলিয়ে বোঝা যায়, আসছে ঈদে অপু বিশ্বাস, সাহারা, তিন্নি, নিপুণ এদের প্রতিযোগিতায় কেয়াও এসে দাঁড়িয়েছেন। কেয়া অভিনীত ছবির মধ্যে বর্তমানে নির্মাণ চলছে পল্লী মালেকের পরিচালনায় ‘ওয়ান ফোর থ্রি’ ও রকিবুল আলম রাকিবের পরিচালনায় ‘পাগল প্রেমিক’। এ দুটি ছবিতে কেয়ার বিপরীতে আছেন যথাক্রমে নীরব ও জায়েদ খান। এছাড়া সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনা ও নূর মোহাম্মদ মনির পরিচালনায় দুটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য এরইমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন কেয়া।
নতুন ছবিতে অভিনয়ের প্রসঙ্গে কেয়া বলেন, ছবিতে অভিনয়ের প্রস-াব পাই অনেক। কিন' যেন তেন চরিত্র আর যেন তেন ছবিতে আর অভিনয় করবো না। ভাল গল্পের চরিত্রেই শুধু অভিনয় করবো। বর্তমানে মডেল হিসেবে কেয়ার একাধিক পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার চলছে।
ত্রিভুজ প্রেমে ছবি
নিয়ে আসছেন
নিপুণ
আগামীকাল ডেস্কঃ আসছে ঈদে ত্রিভুজ প্রেমের ছবি নিয়ে নিপুণ প্রেক্ষাগৃহে আসছেন। এ ছবির নাম ‘ঢাকার কিং’। দিগন- চলচ্চিত্রের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন একাধিক ব্যবসাসফল ছবির যুগল প্রযোজক-পরিচালক ইস্পাহানী আরিফ জাহান। ‘ঢাকার কিং’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন সাফিউদ্দিন সাফি। এ ছবিতে নিপুণের নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন শাকিব খান। এছাড়া ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস, মিশা সওদাগর প্রমুখ। ‘ঢাকার কিং’ ছবির গল্প গড়ে উঠেছে শাকিব খানকে কেন্দ্র করে। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। সমাজের বিভিন্ন খারাপ কাজের প্রতিবাদ করাকে নিয়ে এ অ্যাকশান ঘরানার ছবিটি এগিয়ে যায়। সেইসঙ্গে এগিয়ে যায় শাকিব খান, নিপুণ ও অপু বিশ্বাসের ত্রিভুজ প্রেম।
জুটিবদ্ধ হয়েছেন
শখ-শাকিব
আগামীকাল ডেস্কঃ চলচ্চিত্রে জুটিবদ্ধ হয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান ও মডেল-অভিনেত্রী শখ। তারা অনন্য মামুনের পরবর্তী ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করবেন। সমপ্রতি শখ-শাকিব ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দর্শকরা শখ-শাকিব জুটির রসয়ান রূপালি পর্দায় উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার শাকিব খান যায়যায়দিনকে জানান, রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরনার এ ছবির স্ক্রিপ্ট তিনি ইতোমধ্যেই হাতে পেয়েছেন। ছবির ব্যতিক্রমধর্মী গল্পে তিনি দারুণ মুগ্ধ।
তবে তিনি জানান, স্কিপ্ট চূড়ান- হলেও ছবির নাম এখনও ঠিক করা হয়নি। তবে অচিরেই ছবির নাম চূড়ান- করা হবে। ছবিটি প্রযোজনা করবেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক সাব্বির আহমেদ। ছবির চরিত্রের প্রয়োজনে শারীরিক পরিবর্তন আনতে শাকিব খান নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন। শুধু তাই নয়, তিনি বলিউডের 'ব্রেক ডান্সার'খ্যাত ঋত্বিক রোশনের অনুকরণেই নাচ শিখছেন। শাকিব খান এ ছবির মাধ্যমে ভক্তদের চমক দিবেন বলে জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, 'একটি রোমান্টিক প্রেমের কাহিনী নিয়ে ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে। আশা করি, এ ছবিতে আমার ও শখের রসায়ন দর্শকদের বিমোহিত করবে।' এদিকে শখ বলেন, 'অনেক দিন পর ভালো একটি স্ক্রিপ্ট পেয়েছি। সব মিলেই মনে হচ্ছে ছবিটি দর্শকের ভালো লাগবে।
৭০ বছরের পুরনো শাড়ি
পরেই কারিনাকে বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে হচ্ছে!
আগামীকাল ডেস্কঃ ঐতিহ্য ভুলে কি আর কখনো নবাব বাড়ির বউ হওয়া যায়। আধুনিক সমাজের প্রতিনিধি কারিনাকে এখন আধুনিকতা ভুলে পেছনের দিকেই ফিরে যেতে হবে। বেগম হওয়ার কত জ্বালা, তা এখন বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। সাইফ আলীর সাথে তার বিয়ে হচ্ছে এমন খবর অনেক পুরনো হয়ে গেছে। এখন শুধু বিয়ের পিড়িঁতে বসার অপেড়্গা। কথা ছিল, ভারতের বিখ্যাত ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রার তৈরি পোশাকেই কারিনা কাপুর বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন। কিন' তা আর হচ্ছে না। হবু শাশুড়ি শর্মিলা ঠাকুর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পতৌদি পরিবারের ঐতিহ্যবাহী সাত দশকের পুরনো সেই 'বিয়ের জোড়' পরেই কারিনাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হবে। হবু শাশুড়ির এমন দাবির মুখে কারিনা তার দীর্ঘদিনের ইচ্ছাকে নিমিষেই বিসর্জন দিয়েছেন।
পতৌদি পরিবারের ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে, ঐতিহ্যবাহী 'বিয়ের জোড়'টি আজ থেকে ৭৩ বছর আগে তৈরি করা হয়েছে। শর্মিলা ঠাকুরের শাশুড়ি বেগম সাজিদা সুলতান সর্বপ্রথম এ শাড়িটি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। এরপর শর্মিলা ঠাকুর [আয়েশা বেগম] এ শাড়িটি পরেই নবাব মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। শর্মিলার দাবির মুখে ছোট নবাব সাইফ আলি খানের প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংকেও এ শাড়িটি পরতে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বেবোকেও (কারিনা) রাজপরিবারের ঐতিহ্যবাহী সাত দশকের পুরনো শাড়িটি পরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হচ্ছে।
সমালোচকরা বলছেন, কারিনার ভাগ্য মোটেও সুখকর নয়। একদিকে নবাব বাড়ির জুজু দেখিয়ে সাইফ আলি খান কারিনার মন ভুলিয়েছেন। এখন তিনি সাবেক স্ত্রীর পরা পুরনো বিয়ের পোশাক পরিয়ে তাকে ঘরে তুলতে চাইছেন। তারা আরো বলছেন, এই 'বিয়ের জোড়' নিয়ে যা শুরু হলো, তার জল অনেক দূর গড়াবে। সাত দশকের পুরনো ফ্যাকাসে কমলা রঙের পোশাকটি গায়ে চড়িয়েই বলিউডকে টা টা বাই-বাই জানিয়েছিলেন শর্মিলা এবং অমৃতা! এবার বোধ হয় বেবোর পালা। তাই যদি হয়, তাহলে তো মধুর ভান্ডারকরের 'হিরোইন'ই হতে চলেছে বেবোর শেষ ছবি। আর রটনাটা বোধ হয় একেবারে মিথ্যেও নয়। ইতোমধ্যেই তো বিয়ের জন্য বেবো একতা কাপুর-করণ জোহরের যৌথ ছবির প্রস-াব ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আর কী! সবকিছু ভালোয় ভালোয় সেরে কতদিনে আবার রুপালি পর্দায় ফিরবেন পতৌদি বাড়ির হবু বেগম, সেটাই এখন দেখার বিষয়! তবে কারিনা সমালোচকদের কথায় মোটেও কর্ণপাত করছেন না। কিন' নিন্দুকের কথা, নিন্দিত ব্যক্তিকে খানিকটা পীড়া দেবে এটাই স্বাভাবিক।
শাহীদরে প্রথম
প্রমেরে নাম 'মাধুরী
দীক্ষতি'
আগামীকাল ডেস্কঃ বলিউডি
বক্স
অফিসে
-গ্যাং-বাজ, ডার্টি- কার্যকলাপ এবং রৌদি-রোমিওদের স্বর্ণসময় এখন। এর মধ্যে সাদাসিধে ও সময় না মানা ভালোবাসার সিনেমা আনলেন অভিনয় জুটি শাহীদ কাপুর এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেই সিনেমার নাম তেরি মেরি কাহানি। এই জুটি পর্দা এবং প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে ভাবনা এবং বলিউডের গতি প্রকৃতি নিয়ে কথা বলেছেন টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে।
এই সাক্ষাৎকারে শাহীদ জানিয়েছেন, আমার প্রজন্মের প্রত্যেকটি ছেলেরই প্রথম প্রেমের অনুভূতি হয়েছিল মাধুরী দীক্ষিতকে দেখে। আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না।
মাধুরী চ্যাপ্টারের পর শাহীদ আরও বলেন, আমার মনে হয় না আমি অনন্ত প্রেমে বিশ্বাসী। সত্যি কথা বলতে কি, সাত জনমের প্রেম আসলে অনেকটা ভীতিকর চিন্তা-ভাবনা। তবে সব ধরনের ভালোবাসার জন্যই হৃদয়কে উন্মুক্ত রাখা উচিত। আমার মনে হয় না, আমি কোনো নির্দিষ্ট কিছুতে আটকে থাকতে পারবো। ভালবাসা... আসলে হঠাৎ করেই হয়ে যায়। তবে আমি এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি।
এই সাক্ষাৎকারে শাহীদ জানিয়েছেন, আমার প্রজন্মের প্রত্যেকটি ছেলেরই প্রথম প্রেমের অনুভূতি হয়েছিল মাধুরী দীক্ষিতকে দেখে। আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না।
মাধুরী চ্যাপ্টারের পর শাহীদ আরও বলেন, আমার মনে হয় না আমি অনন্ত প্রেমে বিশ্বাসী। সত্যি কথা বলতে কি, সাত জনমের প্রেম আসলে অনেকটা ভীতিকর চিন্তা-ভাবনা। তবে সব ধরনের ভালোবাসার জন্যই হৃদয়কে উন্মুক্ত রাখা উচিত। আমার মনে হয় না, আমি কোনো নির্দিষ্ট কিছুতে আটকে থাকতে পারবো। ভালবাসা... আসলে হঠাৎ করেই হয়ে যায়। তবে আমি এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি।
মৃত্যুর তিন বছর পর ঘুরে বেড়াচ্ছে
মাইকেল জ্যাকসনের আত্মা!
আগামীকাল ডেস্কঃ তিন
বছর
আগে
বেভারলি
হিলসের
বাড়িতেই
শেষ
নিঃশ্বাস
ত্যাগ
করেছিলেন
মাইকেল
জ্যাকসন।
মৃত্যুর
পরও
বোধহয়
বাড়িটির
মায়া
ত্যাগ
করতে
পারেন
নি কিং অফ পপ। আর তাই তার আত্মা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে বাড়িটির আনাচে কানাচে- এমন এক দাবিই সম্প্রতি করে বসেছেন বাড়িটির আশপাশের বাসিন্দারা। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার। নিজের
বিখ্যাত
মিউজিক
ভিডিও থ্রিলারের- দৃশ্যের
মতোই
নাকি
মাইকেলের
ভূতকে
বাড়িটিতে
ঘুরে
বেড়াতে
দেখেছেন
তার
প্রতিবেশীরা। কেবল
দেখেছেন
বললে
ভুল
হবে,
তারা
নাকি
রাতে
মাইকেলের
কণ্ঠের
গানও
শুনতে
পেয়েছেন
সেখান
থেকে।
সবার ধারণা মাইকেলের ভূত ওই বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। ঘটনাটি সবাইকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। তিনি যখন বেঁচে ছিলেন, তখন প্রতিদিনই জানালার পর্দা সরিয়ে আশপাশে কারা আছে তা দেখতেন; এখনো সেরকম মাঝে মাঝেই দেখা যাচ্ছে। রাতে তার কণ্ঠের গানও ভেসে আসে বাড়িটি থেকে।দি ডেইলি স্টারকে এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিবেশীদের একজন।
প্রতিবেশীটি আরও জানান, ঘটনাটি খুবই অদ্ভূত। তিনি বেঁচে থাকতে মানুষের পারলৌকিক জীবন অন্ধভাবে বিশ্বাস করতেন। থ্রিলার-এ আমরা তেমনটাই দেখেছি। এখন মরে যাওয়ার পর তিনি নিজেই আত্মা হয়ে ফিরে এসেছেন।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে চেতনানাশক ওষুধ প্রপোফলের মাত্রাতিরিক্ত সেবনে এই বাড়িতেই মারা গিয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। বাড়িটিতে তার সঙ্গে থাকতেন তিন সন্তান প্যারিস, প্রিন্স এবং ব্ল্যাঙ্কেট।
সবার ধারণা মাইকেলের ভূত ওই বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। ঘটনাটি সবাইকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। তিনি যখন বেঁচে ছিলেন, তখন প্রতিদিনই জানালার পর্দা সরিয়ে আশপাশে কারা আছে তা দেখতেন; এখনো সেরকম মাঝে মাঝেই দেখা যাচ্ছে। রাতে তার কণ্ঠের গানও ভেসে আসে বাড়িটি থেকে।দি ডেইলি স্টারকে এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিবেশীদের একজন।
প্রতিবেশীটি আরও জানান, ঘটনাটি খুবই অদ্ভূত। তিনি বেঁচে থাকতে মানুষের পারলৌকিক জীবন অন্ধভাবে বিশ্বাস করতেন। থ্রিলার-এ আমরা তেমনটাই দেখেছি। এখন মরে যাওয়ার পর তিনি নিজেই আত্মা হয়ে ফিরে এসেছেন।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে চেতনানাশক ওষুধ প্রপোফলের মাত্রাতিরিক্ত সেবনে এই বাড়িতেই মারা গিয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। বাড়িটিতে তার সঙ্গে থাকতেন তিন সন্তান প্যারিস, প্রিন্স এবং ব্ল্যাঙ্কেট।
মৃত্যুর
পর অর্ধশতক পেরিয়েও
সেরা বক্ষ মেরিলিনের
আগামীকাল ডেস্কঃ মৃত্যুর
পর অর্ধশতক পেরিয়ে গেলেও, মেরিলিন মনরোর সৌন্দর্য্যের আবেদন যে এতোটুকু কমেনি- সেটি আরেকবার প্রমাণিত হলো ডেবেনহ্যামস-এর চালানো জরিপে। ওই প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক এক জরিপে স্কারলেট জোহানসন, লিজ হার্লি, বিয়ন্সি এবং কিম কার্দাশিয়ানের মতো এ সময়ের হলিউডি সুন্দরীদের পেছনে ফেলে শ্রেষ্ঠতম বুক বিশিষ্ট সুন্দরীর স্থানটি দখল করেছেন মনরোই। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
মজার ব্যাপার হলো, ডেবেনহ্যামস তাদের এই জরিপটি চালিয়েছে তাদের ক্রেতাদের মধ্যেই। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য করে, তাদের পণ্যের নারী ক্রেতাদের অর্ধেকই ব্যবহার করেন সবচেয়ে বড় আকারের অন্তর্বাস। বিষয়টি লক্ষ্য করার পরপরই ডেবেনহ্যামস তাদের ১০০০ ক্রেতার (নারী-পুরুষ সবাইকেই) কাছে জানতে চায়, বিখ্যাত নারীদের মধ্যে তাদের চোখে এখনো পর্যন্ত সেরা বুকের অধিকারিনী কে? আর এই প্রশ্নটি থেকেই বেরিয়ে আসে শ্রেষ্ঠ বুকের শীর্ষ দশ তারকার এই তালিকা। তালিকাটিতে মনরোর পরের স্থানটিতে আছেন মার্কিন টিভি উপস্থাপক হলি উইলোবি। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন বৃটিশ মডেল এবং অভিনেত্রী লিজ হার্লি। ডিজাইনার কেলি ব্রুকস এবং ইটালিয়ান অভিনেত্রী সোফিয়া লরেন আছেন যথাক্রমে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে। পরবর্তী তিনটি স্থান দখল করেছেন যথাক্রমে অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন, ক্রিস্টিনা হেন্ড্রিকস এবং পপ তারকা বিয়ন্সি। তালিকাটিতে রয়েছে রিয়ালিটি শো তারকা কিম কার্দাশিয়ানের নামও। শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় অর্থাৎ, তালিকাটির নয় নম্বর স্থানটি দখল করতে পেরেছেন তিনি। তালিকাটিতে মনরোর এক নম্বর আসনটি দখল করা নিয়ে ডেবেনহ্যামসের কর্মকর্তা শ্যারন ওয়েব জানান, মেরিলিনকে এক নম্বর হিসেবে নির্বাচিত হতে দেখে বিষ্মিত হইনি। কারণ, তিনি সবসময়ই তার শরীরে ভালোভাবে ফিট হয় এমন অন্তর্বাসই পরতেন এবং তিনি জানতেন, তার বুকের আকার কতোখানি হলে তাকে মানাবে। আর সেটি তিনি সচেতনভাবেই মেনে চলতেন।
মজার ব্যাপার হলো, ডেবেনহ্যামস তাদের এই জরিপটি চালিয়েছে তাদের ক্রেতাদের মধ্যেই। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য করে, তাদের পণ্যের নারী ক্রেতাদের অর্ধেকই ব্যবহার করেন সবচেয়ে বড় আকারের অন্তর্বাস। বিষয়টি লক্ষ্য করার পরপরই ডেবেনহ্যামস তাদের ১০০০ ক্রেতার (নারী-পুরুষ সবাইকেই) কাছে জানতে চায়, বিখ্যাত নারীদের মধ্যে তাদের চোখে এখনো পর্যন্ত সেরা বুকের অধিকারিনী কে? আর এই প্রশ্নটি থেকেই বেরিয়ে আসে শ্রেষ্ঠ বুকের শীর্ষ দশ তারকার এই তালিকা। তালিকাটিতে মনরোর পরের স্থানটিতে আছেন মার্কিন টিভি উপস্থাপক হলি উইলোবি। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন বৃটিশ মডেল এবং অভিনেত্রী লিজ হার্লি। ডিজাইনার কেলি ব্রুকস এবং ইটালিয়ান অভিনেত্রী সোফিয়া লরেন আছেন যথাক্রমে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে। পরবর্তী তিনটি স্থান দখল করেছেন যথাক্রমে অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন, ক্রিস্টিনা হেন্ড্রিকস এবং পপ তারকা বিয়ন্সি। তালিকাটিতে রয়েছে রিয়ালিটি শো তারকা কিম কার্দাশিয়ানের নামও। শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় অর্থাৎ, তালিকাটির নয় নম্বর স্থানটি দখল করতে পেরেছেন তিনি। তালিকাটিতে মনরোর এক নম্বর আসনটি দখল করা নিয়ে ডেবেনহ্যামসের কর্মকর্তা শ্যারন ওয়েব জানান, মেরিলিনকে এক নম্বর হিসেবে নির্বাচিত হতে দেখে বিষ্মিত হইনি। কারণ, তিনি সবসময়ই তার শরীরে ভালোভাবে ফিট হয় এমন অন্তর্বাসই পরতেন এবং তিনি জানতেন, তার বুকের আকার কতোখানি হলে তাকে মানাবে। আর সেটি তিনি সচেতনভাবেই মেনে চলতেন।
No comments:
Post a Comment