অলিম্পিকে নারী ক্রীড়াবিদ
পাঠাতে আগ্রহী সৌদি আরব
ঘোড়দৌড়ে অংশ নেবেন দালমা রুশদি
বিডিনিউজঃ আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে কোনো নারী ক্রীড়াবিদকে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়নি সৌদি আরব। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি এবারের অলিম্পিকে নারী ক্রীড়াবিদ পাঠাতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
সৌদি ক্রীড়াঙ্গনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) বা কোনো দেশের অলিম্পিক কমিটির কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেলে সৌদি আরব নারী ক্রীড়াবিদদের অলিম্পিকে অংশ নেয়ার অনুমতি দেবে।”
“কোন্-কোন্ নারী ক্রীড়াবিদকে বা কোন্ খেলার ক্রীড়াবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, সে ব্যাপারে আইওসি ও সৌদি অলিম্পিক কমিটিকে নিয়ে গড়া একটি যৌথ কমিটি আলোচনা করতে পারে। যদিও এখনো এ সংক্রান্ত কোনো আমন্ত্রণ আসেনি,” যোগ করেন তিনি। অলিম্পিকে এখনো কোনো নারী ক্রীড়াবিদ না পাঠানোয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো অনেক দিন ধরেই সৌদি আরবের সমালোচনায় মুখর।
সম্প্রতি এক খবরে বিবিসি বলেছিল, সৌদি আরবের এক নারী এবারের অলিম্পিকে অংশ গ্রহণ করছেন। তিনি অংশগ্রহণ করবেন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায়। এই খবরে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে বিবিসি বলেছিল, এটি এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এই নারীটির নাম দালমা রুশদি। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, দেশটিতে অলিম্পিক মানের নারী ক্রীড়াবিদ আছেন এই একজনই। সৌদি কর্মকর্তারা বলেন, অলিম্পিকে আরো নারীর অংশ নেবার সুযোগ থাকতে পারে। ঢিলেঢালা পোশাকের সঙ্গে হিজাবে চুল ঢেকে রাখবেন নারী ক্রীড়াবিদরা। তবে মুখমন্ডল খোলা থাকবে।
কিভাবে কোটিপতি স্বামী পেতে
পারেন, নারীরা শিখতে পারেন
চীনের স্কুলে গিয়ে!
আগামীকাল ডেস্কঃ স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির জীবন কীভাবে কাটবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে স্বামীর আয়-উপার্জন বা অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর। এ কারণে মেয়েরা, এমনকি কন্যাদায়গ্রস্ত বাবারাও সবকিছুর আগে যে বিষয়টা খেয়াল করেন, তা হলো ছেলে বা হবু বরের আয়।
ছেলের আয়টা সন্তোষজনক হলেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচেন বিবাহযোগ্য মেয়ে ও মেয়ের বাবা। এবার বিয়েটা পাকা করে ফেলতেই হবে-এই ধারণা নিয়ে মেয়ের বাবা এগিয়ে যান বর বাছাইয়ে। বর্তমান সময়ে অবশ্য মেয়ের বাবার পাশাপাশি মেয়েরা নিজেরাই ছেলেদের আয়ের দিকে নজর দেন, এমনকি প্রেমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রেও। অন্য দিকে যেমনই হোক না কেন, হবু স্বামী বা প্রেমিক যদি ধনী হন, তাহলে আর কোনো কথাই নেই। প্রেম-বিয়ে পাক্কা।
আর যেসব মেয়ে ধনী বা কোটিপতি স্বামী খোঁজেন, তাঁদের জন্য একটি স্কুলও আছে। কী, জেনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই! অবাক হলেও বিষয়টি একদম সত্যি। কীভাবে একজন কোটিপতি স্বামী খুঁজবেন, কীভাবে তাঁদের সঙ্গে ডেটিং করবেন, কখন একটি সত্যিকারের সম্পর্ক গড়ে তুলবেন- এই সবেরই পাঠ দেওয়া হয় এই স্কুলে। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানের চেংডু অঞ্চলে অবস্থিত এই স্কুলে পাঠদান করেন সু ফেই নামে এক নারী। যিনি নিজেই একজন কোটিপতির স্ত্রী। এই স্কুলে শুধুই নারীদের শিক্ষা দেওয়া হয়।
দ্য সাংহাই ডেইলি রিপোর্টের প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, ওই স্কুলে কোর্স ফি হিসেবে খরচ হয় ১০ হাজার ইউয়ান বা এক হাজার ৬০০ ডলার। ৪২ বছর বয়সী সু ফেই একাই এই স্কুলে শিক্ষাদান করেন। কোর্সের প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী এই স্কুলের মেয়েদের ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয়ও করিয়ে দেওয়া হয়। সাত বছর আগে গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন এলাকায় সর্বপ্রথম এই স্কুলের যাত্রা শুরু হয়। সে সময় শতাধিক নারী ওই স্কুলে ক্লাস করার জন্য আবেদন করেছিল। সু ফেই বলেন, মাত্র ৩৭ বছর বয়সে তিনি এক কোটিপতিকে বিয়ে করেন। তিনি বলেন, ‘যদি আপনি একজন ধনী ব্যক্তিকে স্বামী বা প্রেমিক হিসেবে পেতে চান, তাহলে তাঁর শখের বিষয়গুলো জেনে নিন। তিনি নিয়মিত যেসব স্থানে যান, তাঁর খোঁজখবর রাখুন। তারপর তাঁর কাছে ভান করুন যে কাকতালীয়ভাবে তাঁর শখ ও বেড়ানোর জায়গাগুলোর সঙ্গে আপনার শখ ও বেড়ানোর জায়গার হুবহু মিল রয়েছে।’ সু ফেই আরও বলেন, ‘প্রথম ডেটিংয়ের সময় তাঁর সামনে আপনি বাতির নিচে ৩০-৪৫ ডিগ্রি কোণে বসবেন। এতে আপনার মুখটা অনেক সুন্দর লাগবে।’
ক্লাসে শেখানো হয়, যখন ধনী ব্যক্তির সঙ্গে যখন বাইরে রেস্তোরাঁয় যাবেন, তখন কোনোভাবেই দামি খাবারের অর্ডার দেবেন না। কিংবা দামি উপহারও তাঁর কাছ থেকে পেতে চাইবেন না। ধনী ব্যক্তিরা সব সময় শিক্ষক, চিকিৎসক ও সরকারি চাকরিজীবীদের পছন্দ করেন। তাঁরা বিমানবালা, সাংবাদিক ও দোকানমালিকদের মোটেও পছন্দ করেন না।
আমেরিকার পতন এখন
সময়ের ব্যাপার
ইরানের টিভি ওয়েবসাইটে মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের কলাম
আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতে রয়েছে নির্যাতন, অপরাধ, বর্বরতা
৮০ ভাগ মানুষকে বিলাসে ডুবিয়ে অন্ধকারে রাখা হয়েছে
আগামীকাল ডেস্কঃ আমেরিকার খ্যাতিমান রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোসেফ জিরিনচিক ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভির ওয়েবসাইটে লিখেছেন আÍ-ধ্বংস এখন আমেরিকার জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। দেশটি এতদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য যে নীতি গ্রহণ করেছিল এখন নিজ দেশের জনগণের জন্য তাই করছে। এরফলে, আমেরিকার সামনে পতন এখন অনিবার্য।
বিশ্লেষক জোসেফ বলেন, “অন্য জাতিগুলো যেমন তাদের সরকারের জন্য দায়ী থাকে তেমনি আমরাও আমাদের সরকারের কর্মকাণ্ডের জন্য বিশেষ করে যেসব দেশের নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনী নেই সেসব দেশে বোমা মেরে হাজার হাজার মানুষ মারার জন্য দায়ী।”
তিনি বলেছেন, “আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতিতে আমার কোনো আস্থা নেই। এ দেশটির পররাষ্ট্রনীতে রয়েছে নির্যাতন, অপরাধ, বর্বরতা। এসবই এখন দেশীয় নীতি, অপরাধী বিচার ব্যবস্থা, ট্যাক্স কোড ও সংবিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হচ্ছে। এখন আমরা আমেরিকার নাগরিক হিসেবে বলতে পারি না-এ শাস্তি আমাদের জন্য নয়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোসেফ বলেন, আমেরিকার কথিত সফলতার প্রচারণা শীর্ষ পর্যায়ের শতকরা ২০ ভাগ মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে এবং বাকি ৮০ ভাগ মানুষকে ক্রীড়া, বিনোদন, সেলিব্রেশন এবং নানা রাজনৈতিক রঙ্গ-কৌশলের মাধ্যমে এখনো অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। এতে মানুষ সমাজের এলিট শ্রেণীর ক্ষমতার কার্যকারিতা ও পরিকল্পনা বুঝতেই পারছে না।
তিনি আরো বলেন, আমেরিকানরা বুঝতে পারছে না যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবৈধ সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে নিজ দেশের আইন-শৃ´খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা যায় না। এ ছাড়া, বিভিন্ন দেশে হত্যা, নির্যাতন, গুম, আন্তর্জাতিক আইন লংঘন, জেনেভা কনভেনশন লংঘন ও মানবাধিকার লংঘনের মতো ঘটনার মধ্যদিয়ে আমেরিকা আইনের দেশে পরিণত হতে পারবে না। এ কারণে দিনে দিনে বহু দেশ এখন আমেরিকাকে আর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময় কিংবা সামরিক চুক্তির জন্য বন্ধু ভাবে না। আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে তার পররাষ্ট্রনীতির অংশ বানিয়ে ফেলেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গণতন্ত্রের ধুয়া ছড়িয়ে বিশ্বব্যাপি
ব্যবসা করছেন হিলারী ক্লিনটন
রাশিয়ার প্রভদা অনলাইনের খবর
আগামীকাল ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন একজন দক্ষ লবিস্ট অর্থাৎ দেন-দরবারকারীদের মধ্যস্থতাকারী। ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্ব বেনিয়াদের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষা করতে তিনি সদা ব্যস্ত থাকেন। মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে যেসব পুঁজিওয়ালা দুই হাত খুলে অনুদান দিয়েছেন তাদের বাণিজ্য প্রসারে বিশ্বজুড়ে নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করাই তার কাজ। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বণিক গোষ্ঠীর ব্যবসা প্রসারে তিনি যতটা মনোযোগী তার ছিটেফোঁটাও নেই কূটনৈতিক তৎপরতায়। এ যুক্তি দেখিয়ে শনিবার প্রাভদা অনলাইনে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, হিলারি ক্লিনটন একজন দক্ষ লবিস্ট, কূটনীতিক নন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা ছাড়তে বলার তিনি কে? তিনি কি সিরীয় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি? অবশ্যই তিনি সিরিয়ার নির্বাচিত প্রতিনিধি নন। এমন কি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ দ্বারাও নির্বাচিত রাজনৈতিক প্রতিনিধি নন। হিলারি মূলত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একক ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তি। যার পদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এবং যার কাজ গণতন্ত্রের ধুয়া ছড়িয়ে বিশ্বজুড়ে মার্কিন পুুঁজিবাদের বিকাশ ঘটানো। এর বাইরে তার কৃতকর্মের খুব বেশি নজির নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সাড়ে তিন বছরের তৎপরতা থেকে দেখা যায়, মার্কিন মুলুক ও তার সহগামী ইউরোপীয় দেশগুলোর বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থে হিলারি ক্লিনটন নয়া কৌশল হিসেবে যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদকে গুরুত্ব দিয়েছেন। নতুন নতুন যুদ্ধের সন্ধান করেছেন। সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়েছেন, তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছেন। স্বঘোষিত যুদ্ধের বাইরে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে বিদ্রোহীদের সমর্থন করে সহায়তা করেছেন, এখনও করছেন। এতে শুধু অস্ত্র বিক্রির বাজারই নয়, বাড়ছে সেবা পণ্যের দাম। যুদ্ধের অনিবার্য ফল হল, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন শূন্যের কোঠায় নেমে আসা। উৎপাদন না থাকলে জোগানও থাকে না। ফলাফল যা হয়, তা হল দুর্ভিক্ষ ও মহামারী। এই দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর সুযোগে এসব যুদ্ধাহত দেশে বাণিজ্য প্রসার করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। এমন কি বিশ্ব দাতা সংস্থাগুলোর কাছে মালামাল বিক্রি করে তারা। বিশেষ করে জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থার কাছে ত্রাণসামগ্রী বিক্রি করে ওই কোম্পানি। অর্থাৎ ব্যাপারটি দাঁড়ায় এরকম, যুদ্ধ মানে ধ্বংস। ধ্বংসের মধ্য দিয়ে জয়-পরাজয়। আর যে পক্ষই জিতুক দেশ পরিচালনার জন্য তাদের দরকার রাস্তাঘাট সংস্কার, সামরিক বাহিনীর পুনর্গঠন, খাদ্য-বস্ত্র-চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিরাপত্তা। যুদ্ধবিধ্বস্ত কোন দেশের পইে আলাদিনের চেরাগের মতো তা ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। এ সুযোগটিই গ্রহণ করে মার্কিনমুখী ওই কোম্পানিগুলো।
আর হিলারি ক্লিনটন হলেন, তাদের প্রতিনিধি, যার অন্যতম কাজ যুদ্ধ আবিষ্কার করা। সন্ত্রাসীদের উসকে দিয়ে গৃহযুদ্ধের পথে ধাবিত করা। মুখে মানবতার গান গাইলেও মানবতা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীর অন্যতম লবিস্ট কি হিলারি নন? এমন প্রশ্নের অবতারণা করে রুশ বার্তা সংস্থা প্রাভদার ওই খবরে বলা হয়েছে, একজন হত্যাকারী, লুণ্ঠনকারী, চরিত্র হরণকারী, শিশু ধর্ষক ও শিশু হত্যাকারী, লুটেরা, ঘর পুড়িয়ে নিশ্চিহ্নকারী, ঘৃণ্য সমকামিতার মদদকারী এহেন কোন মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যার সঙ্গে তার সংশিষ্টতা নেই! এমন কি তাকে রক্তের ব্যাপারী বলেও উলেখ করা হয়েছে ওই খবরে। বিশ্বজুড়ে এমনই নিন্দনীয় কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। সিরিয়াবিষয়ক ভূমিকার পর্যালোচনা করে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় হত্যা ছাড়া আর কি-ই বা করছেন হিলারি? যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থকরাও এ কাজে তাদের সহযোগিতা করছে। সিরিয়ার সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে তারা টুঁ শব্দটি করে না। অথচ বিদ্রোহীদের ওপর হামলা, হত্যা প্রচারের মুখপাত্র হিসেবে সারা বিশ্ব তোলপাড় করে বেড়াচ্ছেন তিনি।
একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে কে বা কারা দেশ পরিচালনা করবে সেটি সে দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা মানতে নারাজ। গণতান্ত্রিক স্লোগান তুললেই হল, কয়েকশ গুণ বড় হয়ে মার্কিন সাহায্যের হাত পৌঁছে যাবে তাদের কাছে। সিরিয়ার ব্যাপারটি তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপে ওঠা গণতান্ত্রিক নীতির বিদ্রোহীরা হিলারির প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পেয়েই আন্দোলনে নেমেছে। ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তানকে তারা ধ্বংস করেছে। এখন লেগেছেন সিরিয়ার পেছনে। সিরিয়ার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে বড় প্রজাতান্ত্রিক দেশ ইয়েমেন। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন বলেছেন, বারাক ওবামাকে বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদেরই উত্তরসূরি। মার্কিন লবিস্টদের মতা কেমন, বোধ করি রাশিয়ার চেয়ে তা আর কারোরই ভালো জানা নেই। সে ক্ষেত্রে হিলারি কূটনীতিক নয়, বরং লবিস্টÑ এই বলে উপসংহার টেনেছে বার্তা সংস্থাটি।
সৌদি রাজ পরিবারের দৈহিক
ও মানসিক নির্যাতনের শিকার
রাজকুমারি সারাহ
আগামীকাল ডেস্কঃ সৌদি আরবের রাজকুমারি সারাহ বিনতে তালাল বিন আবদুল আজিজ তার দেশের সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বলেছেন, তার ওপর দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এছাড়া তার সম্পদও আটক করা হয়েছে। সারাহ বিনতে তালাল তাই এখন বৃটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। বৃটিশ পত্রিকা দ্য সানডে টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগ করেছেন। রাজকুমারি জানিয়েছেন, বৃটেনে সৌদি দূতাবাসের বাইরে তার ওপর হামলা চালিয়েছিলেন একজন কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা তার বাহু ধরে তাকে আটকাতেও চেয়েছিলেন বলে জানান সারাহ।
সৌদি রাজকুমারি অভিযোগ করেছেন, 'আমি এখন খুবই ভীতসন্ত্রস্ত। তারা জানে, আমি আর দেশে ফিরে যেতে পারব না। এখানেও হুমকি রয়েছে। এটা সৌদি সরকারের মুখে চপেটাঘাত।' সারাহর আইনজীবী শুক্রবার বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তার রাজনৈতিক আশ্রয়লাভের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। এদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ সারাহকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। অবশ্য সারাহর অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে কি-না বা বৃটিশ সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার বিষয় বিবেচনা করছে কি-না তা এখনো স্পষ্ট নয়। সৌদি রাজকুমারি সারা ২০০৭ সাল থেকে বৃটেনে বসবাস করছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণে তার বিরুদ্ধে হামলা ও হুমকিসহ নানা অপরাধ চালানো হয়েছে। তাকে ও তার সন্তানদের অপহরণের চেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও সারাহ অভিযোগ করেছেন।
নিজেকে সংস্কারবাদী দাবি করে সৌদি রাজকুমারি সারাহ বলেছেন, আধুনিক ইসলামী পন্থাই তার চলার পথ। সারাহর চাচা যুবরাজ নায়েফ বিন আবদুল আজিজ তার প্রধান সমর্থক ছিলেন। নায়েফ কয়েক সপ্তাহ আগে মারা গেছেন। তিনি সারাহর বাবা ৮০ বছর বয়সী যুবরাজ তালাল বিন আবদুল আজিজ আল-সোউদের বিরোধী ছিলেন। এ ঘটনার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বয়োবৃদ্ধ রাজপুত্রদের অসুস্থতার কারণে সৌদি আরবে ক্ষমতার শূন্যতা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে এবং দেশটিতে শিগগির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে। নানা ধরনের বৈষম্য দূর করাসহ রাজনৈতিক সংস্কার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝে-মধ্যেই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে এসব প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ অমানবিক পন্থায় দমন করছে সৌদি সরকার।
No comments:
Post a Comment